পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" সদ্ধৰ্ম্মসঙ্ক শক । কয়েকটি বচন আহরণ করিয়া লিখিয়াছেন, “ সৎ ক্রিয়াবান, তিন বর্ণেই পরস্পর পাক ও ভোজন ক্রিয়া সম্পন্ন করিবে” “ যে যাহার কৃষি কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করে, স্ব কুলের যে মিত্র, যে যাহার গোপ, যে যাহার দাস, যে যাহার ক্ষেত্রের কৰ্ম্মকারক, যে যাহার সেবাপরায়ণ, ঐ সকল ব্যক্তির সহিত সেই সেই ব্রাহ্মণগণের ভোজ্যশ্নত হইতে পারে । ” সুমতি মহাশয়ের এই সকূল আহ্নত প্রমাণ র্তাহার স্বমতের প্রতিকূল ভিন্ন অনুকুল হইতেছে না। যেহেতু পূৰ্ব্বকালে জাতিভেদ ছিল না এ কথা সপ্রমাণ করিবার জন্যই অষ্টমাধ্যায় নিয়োগ করিয়াছেন, কিন্তু উক্ত সকল শাস্ত্রীয় প্রমাণদ্বারা তাহার উদেখ সিদ্ধ হইতেছে না । “ ত্ৰিষু বৰ্ণেষু কৰ্ত্তব্যং পাকভোজনমেব বা ।” পূৰ্ব্বে তিন বর্ণেই পরস্পর পাকভোজন ছিল, এতদ্বর কি ইহা প্রতিপন্ন হইতেছে যে পূৰ্ব্বকালে সকলে একবর্ণছিল ? সকলে এক বর্ণ থাকিলে ত্ৰিষু বর্ণেযু, এই লেখা সঙ্গত হয় না, এবং শুশ্ৰুষাকারক শূদ্রের পাকও ভোজন করিবে । এ কথাও সঙ্গত হয় না। যেহেতু পূৰ্ব্বে সকলে এক জাতি থাকিলে শুদ্র-ব্রাহ্মণৰূপ বর্ণভেদ অসম্ভব হয়। বিশেষতঃ “শুশ্ৰুষাকারক শূদ্রের পাকও ভোজন করিবে” এতদ্বারা কি ইহা প্রতিপন্ন হয় না যে-যে শূদ্র শুশ্রষা না করে তাহার পাক ভোজন করিবে না ? সুমতি মহাশয়ের এই সকল অহৃত अभेीभूप्रार्ष्टि জানা যায়, পূৰ্ব্বে বর্ণভেদ ছিল।