পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

仓、 সদ্ধৰ্ম্মসঙ্কাশক । হইলে পক্ষপাতিত্ব হয় এবং কি হইলে অপক্ষপাতিত্ব হয়, সুমতি মহাশয় তদ্বিষয়ের অনুধাবন করেন নাই । । জগদীশ্বর এই পৃথিবীতে উত্তম, মধ্যম, অধম এই ত্ৰিবিধ হষ্টি করিয়াছেন। যদি তিনি উক্ত ত্ৰিবিধের স্বষ্টি না করি— তেন অর্থাৎ পৃথিবীতে সকলই একবিধ, অর্থাৎ এক প্রকার স্বস্ট হইত, তবে উত্তম, মধ্যম, অধম এৰূপ কম্পেনা করা যাইত না, উৎকৃষ্ট র্যাহার স্বস্ট নিকৃষ্টও তাহারই স্কষ্ট। উৎকৃষ্ট নিরুষ্টের স্বষ্টি না করিয়া সকল সমান স্বষ্টি করিলে সৎকার্য্যের উৎসাহ ও প্রশংসা অসৎকার্য্যের অনুৎসাহ ও তিরস্কার কিছুই থাকিত না । অতি মহৎ হইতে ক্ষুদ্র পর্য্যন্ত ভাল, মন্দ, সৎ, অসৎ, উচ্চ, নীচ, উষ্ণ, শীত, দ্রব, কঠিন, দীর্ঘ, খৰ্ব্ব, সুন্দর, কুৎসিত, মুখ, দুঃখ প্রভৃতি সকলই তাহার স্বস্ট, ইহার কিছুই মনুষ্যকৃত বা কাল্পনিক নহে । জগদীশ্বরের স্বষ্টির কৌশলই ঈদৃশ। তিনি সাধারণের হিতের নিমিত্ত ঈদৃশ কৌশলক্রমে জগতের স্বষ্টি করিয়াছেন । যদি তিনি উৎকৃষ্ট নিকৃষ্টের স্বষ্টি না করিয়া সকল স্বষ্টি সমান করিতেন, তবে মানবেরা সৎকাৰ্য্যদ্বারা উৎকৃষ্টত। ও অসৎকাৰ্য্যদ্বারা নিকৃষ্টতা কি প্রকারে লাভ করিতে পারিত ? পৃথিবীতে বিসদৃশ হৃষ্টিদ্বারাই অপক্ষপাতিত প্রকাশ পাইতেছে। যদি তিনি বিসদৃশ স্বষ্টি না করিয়া সকল সমান করিতেন, তৰে সদসৎকার্য্যের তিরস্কার থাকিত না । সুতরাং পক্ষপাতিতা প্রকাশ পাইত । সকল মনুষ্যকে সমৰ স্বীকার না করিলে যদি তাহাতে