পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৭০

সদ্ধৰ্ম্মসঙ্কাশক । ¢ ጫ পক্ষপাতিতা দোষের আরোপ হয়, তবে সকল পশুকে বা সকল পক্ষীকে অথবা সকল মৎস্যকে সমান না দেখিয়া কি পক্ষপাতিত দোষের আরোপ করা যায় না ? মনুষ্যের মধ্যেও দেখ—স্ত্রী ও পুরুষ সমান নহে, ইহারা আকৃতি প্রকৃতি বল বীৰ্য্য ব্যবহার বুদ্ধি স্বভাব প্রভুত্ব প্রভৃতি নানাপ্রকারেই বিসদৃশ। কোন মনুষ্য সুন্দর, কোন মনুষ্য কুৎসিত, কোন মনুষ্য বলবান, কোন মনুষ্য দুৰ্ব্বল, কোন মনুষ্য নির্ধন, কোন মনুষ্য ধনবান, কোন মনুষ্য সুস্বর, কোন মনুষ্য দুঃস্বর, কোন মনুষ্য বুদ্ধিমান, কোন মনুষ্য নিৰ্ব্বোধ, কেহ ধাৰ্ম্মিক, কেহ পাপী—মনুষ্যসমাজে এই প্রকার বৈষম্য দর্শন করিয়াও স্বষ্টিকৰ্ত্তার পক্ষপাতিত স্বীকার করিতে হয় । বস্তুতঃ স্বষ্টির বৈষম্য পক্ষপাতিতারপরিচয় নহে, যদি সৃষ্টির বৈষম্য না হইয়া সাম্য থাকিত, তবেই পক্ষপাতিত প্রকাশ পাইত। অর্থাৎ জগদীশ্বর উৎকৃষ্ট ও নিকৃষ্ট এই উভয় বিধ সৃষ্টি না করিলে মনুষ্যেরা সৎকৰ্ম্মম্বারা উৎকৃষ্ট ও অসৎকৰ্ম্ম দ্বার নিকৃষ্ট হইতে পারিত না। যেহেতু ঈশ্বর যাহার হষ্টি করেন নাই সেই পদার্থের সত্তা স্বীকার করা যায় না, সুতরাং সদসৎ কার্য্যের প্রশংসা তিরস্কারের অভাব প্রযুক্ত পক্ষপাতিতাই লক্ষিত হইত। অপি চ— নৈসর্গিক কাৰ্যও মনুষ্যদিগকে পৃথকৃ পৃথকৃ জাতি কলিয়া পরিচয় দিতেছে। ইউরোপীয়ান চীনান, আফ্রিকান ভারতবর্ষ বাসী ইহঁাদিগকে একত্র করিয়া পরীক্ষা করিলে, পরিচয়