পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; সন্ধর্মসঙ্কাশক । とな ব্ৰহ্মজ্ঞান চিত্তে থাকিলেই যদি ব্রাহ্মণ হয়, তবে জনক ভীষ্ম যুধিষ্ঠির প্রভৃতি যে সকল ক্ষত্রিয়াদির চিত্তে নিৰ্ম্মল ব্ৰহ্মজ্ঞান উদিত হইয়াছিল, ভঁহার ব্রাহ্মণ-পদবাচ্য হয়েন নাই কেন ? সুমতি মহাশয় বিধিবোধিত ক্রিয়ার অবশ্যকতা স্বীকার করেন না, তাহার মতে তত্ত্বজ্ঞান অতি সুলভ, অতি সহজে ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হইতে পারে, এই অভিপ্রায়েই শিষ্যগণকে ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মের উপদেশ ছলে দ্বিতীয় অধ্যায়ের ১১ শ্লোক অবধি ১৪ শ্লোক পৰ্য্যন্ত তত্ত্বজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করাইয়াছেন এবং উহা সপ্রমাণ করণার্থ গীতার অনেক প্রমাণ উদ্ধত করিয়াছেন । সপ্তম অধ্যায়ে ব্রহ্মোপাসনার প্রাধান্য প্রমণার্থ মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রের অনেক প্রমাণ স্লাহরণ করিয়া গ্রন্থবিস্তার করিয়ছেন। বস্তুতঃ তাহার এই সকল প্রমাণ কোন সম্প্রদায়েরই অমানিত নহে, তত্ত্বজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব ও ব্রহ্মোপাসনার *প্রাধান্ত সকলেই স্বীকার করেন । নাস্তিকভিন্ন এমন কোন সম্প্রদায় নাই যে তত্ত্বজ্ঞান রা ব্রহ্মোপাসন ইচ্ছা করে না। এই পৃথিবীর মধ্যে যে সকল ধৰ্ম্ম চলিত আছে সকল ধৰ্ম্মই পরব্রহ্মকে অবলম্বন করিতেছে, কি হিন্দু কি মুসলমান, কি খ্ৰীষ্টীয়ান, কি সাকুর বাদী, কি নিরাকার বাদী, যিনি যে প্রকার উপাসন করুন, সকলের উদ্দেশ্যই ব্ৰহ্ম। ঈশ্বর উদ্দেশে যে যে প্রকার উপাসন করুক তাহারই সেই প্রকল্প 'निक इग्न। গীতাতেও উক্ত আছে--