পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধৰ্ম্মলঙ্কাশক । و به সাধকের ধ্যান পাঠ করিয়া প্রথমে আপনার মস্তকে পুষ্প দেন এবং আত্মাকে দেবতাস্বৰূপ চিন্ত করেন ইহার কারণ এই যে, র্যাহার উপসম করেন তন্ময় হওয়াই সেই উপাসনার চরম ফল | আত্মকে দেবতাস্বৰূপ চিন্তা করিতে করিতে ভেদজ্ঞান দূর হইয়া সোহহং জ্ঞান হয়, সেই জ্ঞানের নামই ঐক্যজ্ঞান, ঐক্যজ্ঞান হইলেই মুক্তি। যে পর্য্যন্ত মনুষ্যের ভেদজ্ঞান থাকে সেই পৰ্য্যন্তই তাহারা অজ্ঞানতাপাশে বদ্ধ সুতরাং মুক্তিলাভ করতে পারে না। সুমতি মহাশয় বলেন “ জীবব্রহ্মের অভেদ ভাব চিন্ত৷ করিলে বিশ্বকৃৎ পরমেশ্বরে বিবিধ দোষারোপ করিতে হয়" ইহার উদাহরণ দর্শাইতে “ জানামি ধৰ্ম্মং ন চ মে প্রবৃত্ত্বি" ইত্যাদি শ্লোক উদ্ধত করিয়াছেন। চিরপ্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্ম ও হিন্দুশাস্ত্রের হিংসা করিতে ব্যগ্রতা—এমন গুরুতর রূপে ইহার চিত্তে অবস্থিতি করিতেছে যে, সেখানে বিবেচনা আর কিছুমাত্র স্থান পাইতেছে না। জীবব্রহ্মে অভেদ চিন্তা করিলে ঈশ্বরে দোষরোপ করা হয়—“জানামি ধৰ্ম্মং ন চ মে প্রবৃত্তি” ইত্যাদি প্রার্থন| কি প্রকারে তাছার উদাহরণ হইল ? এই প্রার্থন দ্বারা কি জীবব্রহ্মের অভেদ প্রতিপন্ন হইতেছে ? জীবত্ৰহ্মের অভেদ জ্ঞান হইলে লোকের যাদৃশ জ্ঞান হয়, তাছ। তন্ত্রশাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে। যথা— অহং দেবো ন চান্তে হস্মি ব্রহ্মৈবাস্মি ন শোকভাক্। সচ্চিন্দানন্দৰূপোহস্মি নিত্যমুক্তস্বভাববান ॥ আমি দেবতা, তদ্ভিন্ন নাহ, আমি ব্রহ্ম, আমি শোক ভোগ করি না, আমি সচ্চিদানন্দস্বৰূপ নিত্য মুক্তস্বভাব।