পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w সংস্থাপন করিতে প্রতিজ্ঞাঙ্ক র খাবার ইহাও দেখা যাইতেছে–শাস্ত্রজ্ঞ লোকেরাও কালস্বতাৰে বা অর্থলোভে অন্ত কোন দুরভিসন্ধির বশবর্তী হইয়া ধর্ম ও শাস্ত্রের শিরশেদন করণার্থ ইন্দ্ৰজিতের স্তায় মেঘে লুক্কায়িত থাকিয়া শর নিক্ষেপ করিতেছেন। যদিচ ইহাদিগকে নানাবিধ শাস্ত্রীয় প্রমাণাহরণে যত্নশীল দেখা যায়, কিন্তু সেই যত্ন শাস্ত্রের সদভিপ্রায় রক্ষার নিমিত্ত নহে, কেবল ঐ সকল শাস্ত্রে দোষারোপণ করাই তাহদের মুল তাৎপৰ্য্য। ব্যাধের যেমন কর্ণসুখের নিমিত্ত কোকিলের নিনাদ শ্রবণ করে না, প্রত্যুত কোকিলহননের জষ্ঠই তাহার মনোহর ধ্বনি শুনিয়া থাকে, উহাদের শাস্ত্রচর্চাও তদ্রুপ । এই প্রকার নানাবিধ কারণ বশতঃ দেশীয় শাস্ত্র সকল লোপ পাইতে বসিয়াছে। যেখানে শাস্ত্রের ঈদৃশী অবস্থ৷ তথায় কোনমতেই ধৰ্ম্মোৎপত্তির সম্ভাব হইতে পারে না। বিশেষতঃ বিজাতীয় সংসৰ্গদ্বারা তরলবুদ্ধিসমাজের শোণিত উষ্ণ হইয়াছে। এই ভয়ানক সময়ে স্বদেশীয় ধৰ্ম্মও শাস্ত্রের গৌরব রক্ষার্থ সকলেরই যত্নশীল হওয়া কৰ্ত্তব্য। ইহ বিবেচনা করিয়াই অনেক মহাত্মা এতদ্বিষয়ে অগ্রসর হইয়া স্বীয় স্বীয় সাধ্যানুৰূপ কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য সম্পাদন করিতেছেন এবং ধর্ম ও শাস্ত্রের অবমাননা মধ্যে মধ্যে আমাদিগকেও উত্তেজিত করিয়া তুলিতেছে। অতএব বিধর্মিগণের বুযুক্তি ও কুতর্ক এবং তাহার শাস্ত্রবিরুদ্ধ আচার ব্যবহার গুলিনকে শাস্ত্রসন্মত বলিয়া প্রতিপন্ন করিবার ষে ছুশ্চেষ্টা