( ২১৬ ) রাহধনপুর। গুজরাট দেশে রাহধনপুর নামে এক বৃহৎ নগর আছে, এই নগর এক পুরাতন প্রাচীর দ্বারা বদ্ধ, এব^ তাহার মধ্যবৰ্ত্তি যে দুর্গ ও নগর বেষ্টিত প্রাচীর এবং তথা যে আর এক বৃহৎ প্রাচীর আছে সে সমুদয় ১৩ হস্ত গভীর এক খাত দ্বারা বেষ্টিত, উক্ত নগরে ৬০০০ ছয় সহস্র গৃহস্থ তাহার ১৪ ০০ ঘর বণিক জাতি তাহারদিগের মধ্যে অনেক ধনি লোক আছে, তাহার প্রচুর দুব্যাদির বাণিজ্য করে, উক্ত নগর মারও য়ার ও কচ এই উভয় দেশীয় লোকদিগের বাণিজ্যের এক প্রধান আড়ঙ্গ ছিল কিন্তু অল্পকালাবধি এই স্থানে কুলি জাতীয় দ্যুর বাহুল্য হওয়াতে ব্যবসায়িদিগের গমনাগমনের অল্পত হইয়াছে’ এই নগর হটতে স্থানান্তরে প্রেরণের প্রধান বাণিজ্য দুর্য চৰ্ম্ম, ঘৃত এব^ গোপূম,এই স্থত কচদেশে ও চর্ম কেম্বে দেশীয় মহনী তীরস্থ বেীনগরে প্রেরিত হয়, এই নগরের প্রায় অনেক লোকে ক্ষেত্ৰ কৰ্ম্ম করে, অতএব ইহার নিকটবর্ভি স্থানে যথেষ্ট কৃষি কৰ্ম্ম হইতেছে, অপর বালুচি জাতীয় রাহ ধন খুঁ নামক সৈন্যাস্যক্ষ এক ব্যক্তি তৃক এই রাহধনপুরের আরম্ভ হয়, এই ব্যক্তি পারদর নামক স্থান হইতে আগমন করিয়াছিল, কিয়খ দিবস পরে ী জাহান উক্ত নগর প্রাচীর দ্বারা বদ্ধ করিয়া কুলি নামক দস্য জাতীয়দিগের দৌরাত্ম্য হইতে বিমুক্ত করিল, তৎপরে দামনাজি গুইকুড়ার আ সিয়া তথাকার নবাবের পিতা কমলদ্বিন দাসীকে তাঁহার পাটনি দেশ পরিত্যাগ করাইয়। এই রাহধনপুর ও মাঞ্জিপুর এবং সোত্মী নামক স্থান অধিকার করতে অনুমতি করিল। ৪২৮। বন্দুপ্রয়াগ ৷ হিন্দুস্থানে শ্রীনগর প্রদেশের যে স্থানে আলকন নদী ও কালিগঙ্গ। এই উভয় নদী পরসর মিলিত হইয়াছে তথা রুদ্রপুরাগ নামক এক তীর্থ স্থান আছে, এই কালিগঙ্গ।
পাতা:সন্দেশাবলি.djvu/৩০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।