পাতা:সন্দেশ (তৃতীয় বর্ষ).pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০৮ সন্দেশ । আর তুলছে, আর খালি জল ঝর ঝর করে পড়ে যাচ্ছে। ঘোতো বল্ল, “কি মুস্কিল ! এখন কি হবে ?” সেখানে কতগুলো হাস ছিল, তারা প্যাক স্প্যাক করে ডাকছিল। তা শুনে ঘোতে৷ বল্ল, “আরে তাইত, ঠিকই ত বলেছে । চালনীতে পাক মাখিয়ে নিতে হবে, তাহলেই ফুটো বন্ধ হয়ে যাবে আর জল ধরবে। নদীর ধারে পাঁক ছিল, ঘোতো তাই নিয়ে। চালনীতে মাখাল ; ফুটো বন্ধ হয়ে গেল, আর জল পড়তে পেল না । ঘোতো তখন হাসতে হাসতে জল নিয়ে মুদীর কাছে ফিরে এল। মুদী তাতে খুসী হয়ে ঘেতোকে F ঢের আটা দিল। আটা নিয়ে ঘেতো গেল চাষার কাছে ; চাষ| তাতে খুসী হয়ে ঘোতোকে খড় দিল । খড় নিয়ে ঘোতো দিল গাইকে ; গাই তা খেয়ে খুসী হয়ে ঢের দুধ দিল। । দুধ নিয়ে ঘেীতো দিল মেনীকে ; মেনী তা খেয়ে খুসী হয়ে, মাখন চেটে ভোলাকে দিল । ভোলা সে মাখন নখে মেখে হরিণ ধরে আনল। হরিণ গিয়ে জলে। নেমে গা ভিজিয়ে এল। ভোলা তার গা থেকে জল নিয়ে পাথরে দিল, সেই পাথরে কুড়ল শানাল, সেই কুড়ল দিয়ে গাছ কাটল, সেই গাছ দিয়ে লাঠি বানাল, সেই লাঠি নিয়ে দাত কড়মড়িয়ে ছুটে গেল কুলগাছ তলায়, ভূতোকে মারতে । ভূতো কি ততক্ষণ গাছ তলায় বসে আছে ? সে তার কত আগেই ছুটে পালিয়েছে ! । | সেকেলে মজ । কৃষ্ণের কথা শুনতে গিয়ে তোমরা বৃন্দাবনের ছেলেদের খেলার কথাও কিছু কিছু শুনেছ। শ্ৰীমদ্ভাগবতে তার কথা আরো বেশী করে লেখা আছে। । সে রকম খেল যদি তোমরা খেলতে আরম্ভ কর, তবে না জানি তোমাদের গুরুজনেরা কি বলবেন, আর তোমরাও না জানি তার মজাটা কেমন বুঝৰে ! চড়াইভাতির দিনেই বৃন্দাবনের রাখালদের খেলাটা জন্মত ভাল । সে দিন ভোর হতে না হতেই শিঙ্গ বাজিয়ে তাদের জাগিয়ে দেওয়া হত। । অমনি সকলে সেজেগুজে শিঙ্গা ফুকতে ফুকভে আর বঁাশী বাজাতে বাজাতে বাছুরগুলিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ত । প্রত্যেকের হাতে একেকটি লাঠি, আর বগলে এক একটি ছোট “শিকে,” তার মধ্যে হয় ত কিছু খাবার জিনিস । সাজ সজ্জার ঘটাও খুবই ; মাকড়ীবালাফুল, ফল, পাতাকঁচ, কাচ,—-যার যা যুটেছে, তাই পরে এসেছে। সjর