পাতা:সন্ধ্যা সঙ্গীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৩৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বিষ ও সুধা।
১২১

আবার ফিরিয়া যবে আসিব দামিনি,
নব-অতিথির মত ভেবোনা আমারে
সম্ভ্রমের অভিনয় কোরোনা বালিকা!”
কিছুই উত্তর তার দিলে না তখন,
শুধু মুখপানে চেয়ে কাতর নয়নে
ভৎসনার অশ্রুজল করিলে বর্ষণ!
যেন এই নিদারুণ সন্দেহের মোর
অশ্রুজল ছাড়া আর নাইক উত্তর!
আবার কহিনু আমি ওই মুখ চেয়ে
“কে জানে মনের মধ্যে কি হয়েছে মোর
আশঙ্কা হতেছে যেন হৃদয়ে আমার
ওই স্নেহ-সুধা-মাখা মুখখানি তোর
এজনমে আর বুঝি পাবনা দেখিতে।”
নীরক গম্ভীর সেই সন্ধ্যার আঁধারে
সমস্ত জগৎ যেন দিল প্রতিধ্বনি
“এজনমে আর বুঝি পাবনা দেখিতে।’
গভীর নিশীথে যথা আধ ঘুম ঘোরে
সুদুর শ্মশান হতে মরণের রব
শুনিলে হৃদয় উঠে কাঁপিয়া কেমন,
তেমনি বিজন সেই তটিনীর তীরে

১৬