পাতা:সন্ধ্যা সঙ্গীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৩৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২২
সন্ধ্যা সঙ্গীত।

একাকী আঁধারে যেন শুনিনু কি কথা
সমস্ত হৃদয় যেন উঠিল শিহরি!
আরবার কহিলাম “বিদায়—ভুলোনা।”
তখন কি জানিতাম এই নদীতীরে
এই সন্ধ্যাকালে আর তোমারি সমুখে।
এমনি মনের দুখে হইবে কাঁদিতে?
তখনো আমার এই বাল্য জীবনের
প্রভাত-নীরদ হতে নব-রক্ত-রাগ
যায়নি মিলায়ে সখি, তখনো হৃদয়
মরীচিকা দেখিতেছিল দুর শূন্য-পটে!
নামিনু সংসার-ক্ষেত্রে যুঝিনু একাকী,
যাহা কিছু চাহিলাম পাইনু সকলি!
তখন ভাবিনু যাই প্রেমের ছায়ায়
এতদিনকার শ্রান্তি যাবে দূর হয়ে।
সন্ধ্যাকালে মরুভূমে পথিক যেমন
নিরখিয়া দেখে যবে সম্মুখে পশ্চাতে
সুদূরে দেখিতে পায় প্রান্ত দিগন্তের
সুবর্ণ জলদ জালে মণ্ডিত কেমন,
সে দিকে তারকাগুলি চুম্বিছে প্রান্তর,
সায়াহ্ন-বালার সেথা পূর্ণতম শোভা,