পাতা:সপত্নী সরো.pdf/৫৮

সপত্নীসরে । dסי করিতেন না । * কিসে ধনাঢ্য হইব ”-মনে মনে এই কথা দিবানিশি জপ করিতেন। ভূত্যটাও তেমনি, যেমন দেবতা-তেমনি ভূষণ । কথকতার প্রস্তাব হওনাবধি আর আলস্য ছিল না ;–পীড়ায় পাড়ায় ঘোষণা দিতে লাগিল। ও ছোট বড় সমস্ত লোক ক্রমে ক্রমে জ্ঞাত হইল। ও দিগে পুরোহিতের বাট পরিষ্কার হইতে লাগিল । পর দিন প্রাতে সরস্বতী প্রাতঃস্বান করিয়া চারিদণ্ডের পর যাত্রা করিল। ও প্রতিবাসিনী একজন স্ত্রীলোককে সঙ্গে করিয়া গোস্বামীর নিকেতনে আইল ; ও ভক্তিভাবে তত্ৰত্য প্রতিষ্ঠিত দেবতাদিগকে প্রণাম করিয়া গোস্বামীকে অভিবাদন করিল। তাহার পর পা ধুইয়া গোস্বামীর পূজার ঘরে গিয়া বসিল। পরিধান তসরের ঠোঁট, বাম হাতের অনামিকায় স্বর্ণাঙ্গুরী, গলায় তুলসীর মালা, তৎসঙ্গে একহালি সোণার দানাও আছে। বৈধব্যাবধি সরো অঙ্গে আর কোন অভরণ ধারণ করিত না । ভোজন নিরামিষ্য ও একfহার। কখন কখন বীরত্ৰতও করিত। এইরূপে সরে সংশোধিত হইয়া কুশাসনে বসিল। তাহার পর অীচমন করিয়া প্রাক্কালিক মন্ত্র সকল ক্রমে ক্রমে পাঠ করিল। গোস্বামী পূজা সমাধা করিয়া সরোর কাণে কাণে বীজমন্ত্র কহিলেন । সরো মন্ত্র গ্রহণ করিয়া গোস্বামীর পণ পূজা করিল, ও দক্ষিণ “যৎকিঞ্চিৎ কাঞ্চনমূল্য ” দিয়া গোস্বামীকে ধরাবনত প্রণাম করিল ; ও গলায় বস্ত্ৰ দিয়া অশ্রুপূর্ণনয়নে গোস্বামীকে স্তব করিল, ও সবিনয়ে নিবেদন করিল, “ ঠাকুর, আমার প্রতি কটাক্ষ করে আমার যে সকল দুঃখু আছে তা দূর কর । আমার দুঃখের কথা আর কি নিবেদন করবে !— আমি পতিশোকে কাতর । তার পর, যে সতিন আছে, সে আমার শক্তিশেল হয়েচে । ঐ রাক্ষসী যাতে মরে, আপনি তা’র উপায় বলেন ।