পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা তপস্বিনী SN) লাগিতেছে। হাত জোড় কবিয়া চোখ বুজিয়া সে বসিয়া রহিল, চোখের কোণ দিয়া অজস্ৰ জল পড়িতে লাগিল । সেই দিনই মধ্যাহে আহারের পর মাখন ষোড়শীকে তার ঘরে ডাকিয়া আনিয়া বড়ই সঙ্কোচের সঙ্গে বলিলেন, “মা, এতদিন তোমার কাছে বলি নি, ভেবেছিলুম দরকার হবে না। কিন্তু আর চলচে না । আমার সম্পত্তির চেয়ে আমার দেন। অনেক বেড়েচে, কোন দিন আমার বিষয় ক্ৰোক করে বলা যায় না।” • ষোড়শীর মুখ আনন্দে দীপ্ত হইয়া উঠিল। তার মনে সন্দেহ রহিল না যে, এ সমস্তই তার স্বামীর কাজ। তার স্বামী তাকে পুর্ণ ভাবে আপন সহধৰ্ম্মিণী করিতেছেন-বিষয়ের যেটুকু ব্যবধান মাঝে ছিল সেও বুঝি এবার ঘুচাইলেন। কেবল উত্তরে হাওয়া নয় এই যে দেন এও সেই লঙচু পাহাড় হইতে আসিয়া পৌছিতেছে, এ তার স্বামীরই দক্ষিণ হাতের স্পর্শ। সে হাসিমুখে বলিল, “ভয় কি বাবা ?” মাখন বলিলেন, “আমরা দাড়াই কোথায় ?” ষোড়শী বলিল, “নৈমিষারণ্যে চালা বেঁধে থাকব ।” মাখন বুঝিলেন ইহার সঙ্গে বিষয়ের আলোচনা বৃথা। তিনি বাহিরের ঘরে বসিয়া চুপ করিয়া তামাক টানিতে লাগিলেন। এমন সময়ে মোটর গাড়ি দরজার কাছে আসিয়া থামিল । সাহেবি কাপড় পরা এক যুবা টপ করিয়া লাফাইয়া নামিয়া মাখনের ঘরে আসিয়া একটা অত্যন্ত অসম্পূর্ণ ভাবের নমস্কারের চেষ্টা করিয়া বলিল, “চিনতে পারচেন না ?” ‘qदि ? द ब्रन नांकि १” by