পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y& O সবুজ পত্ৰ আষাঢ়, ১৩২৪ এমন সময় মুষলধারে বৃষ্টি নেবে এল-বরযাত্রির মেরাপের নীচে থেকে একেবারে হুড়ামুড়া করে বেরিয়ে এবং অনেক জিনিস পত্ৰ লণ্ডভণ্ড করে পুজার দালানে অর্থাৎ সম্প্রদানের স্থানে গিয়ে হাজির ठूल ! তাদের জিজ্ঞাসা করাতে তারা বল্পে “কৈ, না-স্বরূপচন্দ্ৰ ত এখনো এসে পৌছয় নি-সে নৌকায় চড়বে দেখে আমরা চলে এলুম।” “বল কি ?” বলে ব্ৰজেন বাবুলাফিয়ে দাঁড়িয়ে উঠলেন। “ব্যস্ত হয়োন” বলে গাঙ্গুলি তাকে টেনে ধরে বসালেন। “কিন্তু আর যে লগ্ন নেই” বলে ব্ৰজেন বাবু গাঙ্গুলির দিকে ঘুণাপুৰ্ণ কাতর কটাক্ষে চাইলেন-সে। কটাক্ষে সম্মানের চিহ্ন ত ছিলই না। বরং বিদ্রোহের ভাব ছিল । অল্পভাষী, দ্বিধাপুর্ণ ব্রজেন্দ্রের ভিতর যে এতটা শক্তি ও তেজ প্ৰচ্ছন্ন ছিল-যাতে সে। তঁর সঙ্গেও কড়া ভাবে কথা বলতে পারেএটা গাঙ্গুলি আজ নুতন দেখলেন। তিনি পুর্বের মত একটা যা তা উত্তর দিতে আর সাহস কল্পেন না-—“তাহলে যা ভাল হয় তাই কর” বলে দুরে সরে গেলেন। ঠিক সেই সময় সেখানে উপস্থিত হল একটা বিকট বীভৎস মুর্ক্সি-অনেকটা প্রেতের মত ; সর্বাঙ্গে কাদামাখ-চক্ষু রক্তবর্ণলম্বা চুল দিয়ে ফোটা ফোটা জল গড়াচ্ছে। ব্ৰজেন বাবু তার দিকে চেয়েই বল্লেন-“এ কে ? কে তুমি ?” সে প্রথমটা চুপ করেই রইল-কোন উত্তর দিতে পাল্পে নাকিন্তু তার চোখ যেন কাকে খুঁজে বেড়াতে লাগল।