পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yè yo नयूब अंक আষাঢ়, ১৩২৪ হইতে কৰ্ম্ম কেবল চক্ষুদুটি মুদিয়া মাঝে মাঝে পুৰ্ব্বভুক্ত খাদ্যের অল্প অল্প জাবির কাটে, আর কিছু বড় তাহাকে করিতে হয় না। ( ( ) কথাটার ভিতর যে কিছুমাত্র সত্য নাই, তাহ বলিতে পারি না। কৰ্ম্মবৈমুখাই যে কতকাংশে বিধিব্যবস্থাগত ধৰ্ম্মের প্রাধান্য বাড়াইয়া দিয়াছে, ইহা না মানিবার কোন কারণই খুজিয়া পাই না। কৰ্ম্মকে নিয়ন্ত্রিত করিবার জন্যই অবশ্য বিধিব্যবস্থার বন্ধন। সেই কৰ্ম্ম যদি সংকীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ হইয় পড়ে—শুধু খাওয়া, পর, শোয়া, বসার মধ্যেই জীবনটা কোন রকমে একটু নড়িতে চড়িতে থাকে, তবে বিধিব্যবস্থার বন্ধন এই একঘেয়ে কৰ্ম্মের চারিদিকে দিন দিন খাঁজে খাজে কাটিয়া বসিবেই ত ! কিন্তু যদি ভাগীরথীকে হিমাচলের শীর্ষ হইতে টানিয়া আনিতে হয়, যদি মৈনাকের দণ্ডে মহাসমুদ্র মন্থন করিতে হয়, যদি সেতুবন্ধন ও খাণ্ডবদাহনে সাম্রাজ্যের বিস্তার করিতে হয়-স্কুল কথায় যখন জীবনটা প্ৰজ্জ্বলিত উষ্কার মত বিপুল কৰ্ম্মক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বেগে ঘুরিতে ফিরিতে থাকে, তখন কি আর বিধি ব্যবস্থা একই অক্ষরে, একই মাত্রায় চিরদিনেরতরে আবদ্ধ হইয়া থাকিতে পারে ? তখন যে তাহাকে নিত্য নুতন কৰ্ম্মচক্রের মাঝে বিবৰ্ত্তিত হইতে হয়-একই স্থানে শ্মশানের বৃষিকাষ্ঠের মত খাড়া হইয়া থাকিবার তাহার অবসর কোথায় ? সুতরাং কৰ্ম্মক্ষেত্রের সংকীর্ণতা যে এতটা প্রভাবের হেতু ইহা স্বীকার করিতে কোন দোষ দেখি না। তবে হেতু হইলেও ইহাই একমাত্ৰ হেতু নয়। হেতু আরো আছে। আমাদের মনে হয়, এই