পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলা-ভাষার কুলের খবর। শুনতে পাই এ দেশে এমন সব বিদ্বান ও বুদ্ধিমান লোক আজও আছেন, যাদের বিশ্বাস যে বাংলা-ভাষা সংস্কৃতের অপভ্ৰংশ । এ বিশ্বাস যে অমূলক, বাংলা যে সংস্কৃতের দুহিত হওয়া দূরে থােক, দৌহিত্রীও নয়-কিন্তু মাগধী প্ৰাকৃতের বংশধর-এ সত্যের বঁরা প্ৰমাণ দেখতে চান, তঁদের আমি গত আষাঢ় মাসের “প্ৰতিভা।” পত্রে প্রকাশিত শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দের “বাঙ্গলা-ভাষা” নামক প্ৰবন্ধটির প্রতি মনোযোগ দিতে অনুরোধ করি । চন্দ মহাশয়ের লেখার সঙ্গে যার পরিচয় আছে তিনিই জানেন যে, যার স্বপক্ষে কোনও প্ৰমাণ নেই, এমন কথা বলা তার অভ্যাস নেই। এবং তিনি প্ৰাচীন দলিলপত্র হতে প্ৰমাণ সংগ্ৰহ করবার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম, যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার করে থাকেন। চন্দ মহাশয় পূর্ববঙ্গের হয়ে যে সকল গুণের দাবী করেছেন, যথা-“পারিশ্রম, রীতিমত বিচার, সহন, ধৈৰ্য্য” ইত্যাদি, তঁর প্রবন্ধে সে-সকল গুণের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। ইতিহাসের সত্য নিজের অন্তরে আবিষ্কার করবার সহজ উপায়টি কোনও কোনও বাঙ্গালী ঐতিহাসিক আজও ত্যাগ করেন নি, সুতরাং তঁদের আবিষ্কার তাদের মনঃপুত হলেও সকলের মনঃপূত হয় না। যারা ভারতবর্ষের ইতিহাসে বাঙ্গালী জাতির স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় পেলে মনঃক্ষুন্ন হন না,-"তারা বাংলা-ভাষার