পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጴ?ህ at; ao আমার নেই। তবে এ কথা নিৰ্ভয়ে ঘলা যেতে পারে যে, এ ভাবা যে বাংলা, শাস্ত্রী মহাশয় নিঃসংশয়ে তা প্ৰমাণ করতে পারেন নি। ;- বলা বাহুল্য এ ক্ষেত্রে প্রমাণের ভার তার উপরেই ন্যস্ত। দোহাকার LLC KBDBBD S SDDB DBDDB DBDDD S SDBDB SDY এই নামই ঠিক । এ ভাষা বাংলা-ভাষার উদয়ের ভাষা নয় সম্ভবতঃ কোনও প্ৰাকৃতের অস্তের ভাষা । অপরপক্ষে এমনও হতে পারে যে, বাংলা ও হিন্দির সন্ধিতে এ ভাষার জন্ম । এ ভাষা। যদি বাঙ্গলার প্রাচীন ভাষা হয়, তাহলেও এতে এতটা হিন্দির ভেজাল আছে যে, একে একটা দো-আঁসলা ভাষা বলাই নিরাপদ । ( ७ ) “বাংলাভাষা” কথাটার ভিতর দ্ব্যৰ্থ আছে, কেননা এখন বাঙ্গলদেশে একটি নয়, দুটি ভাষার চলন আছে। এর একটি লেখার, আর একটি কথার ভাষা । আকারে প্রকারে এ দুয়ের ভিতর যে প্রভেদ আছে, সে কতকটা ব্ৰাহ্মণ শূদ্রের প্রভেদের অনুরূপ। সাধু ভাষার পাণ্ডাদের মতে, সরস্বতীর মন্দিরে খাটি বাংলার প্রবেশ নিষেধ। সুতরাং বাংলাভাষার উৎপত্তি নির্ণয় করতে হলে-এই সাধুভাষার কুলের খবরও নেওয়া দরকার। প্ৰসিদ্ধ ফরাসী পণ্ডিত সেনার ( Senart) ভারতবর্ষে জাতিভেদের মূল আবিষ্কার করবার চেষ্টায় বিফল হয়ে, শেষটা হতাশ ভাবে এই কথা বলেন যে, “হিন্দুস্থানের আবহাওয়ায় এমন কিছু আছে, যার গুণে এদেশে কোনও জিনিষই গোটা থাকে না- সবই টুকরো হয়ে পড়ে”।—এক কথায় এ দেশ হচ্ছে ভগ্নাংশের দেশ ৷ চন্দ মহাশয় কিন্তু হতাশ হবার লোক নন । যিনি