পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী-স্ত্রী। শাস্ত্র আর দেশাচারের সমবেত চেষ্টা এবং নিশ্চেষ্টতার ফলে আমাদের সমাজে স্ত্রী-জাতির মানসিক গতি ও পরিণতি যে ধারা অনুসরণ করে চলেছে-তাতে আমরা সবাই খুব খুলী, এবং ঘরে বাইরে তা নিয়ে সময়ে অসময়ে যথেষ্ট গর্ব প্ৰকাশ করতেও অল্প বিস্তর ব্যগ্ৰ । ব্যাপারটাকে তর্কের অতীত করে', পদ্যের ছাদে বেঁধে আমরা বলে থাকি,- “রূপবতী সাধবী সতী ভারত-ললনা, কোথা দিতে তাদের তুলনা ?” উপরের চরণের “রূপবতী।” কথাটাকে “চ-বৈ-তুহি”র দলে ছেড়ে দিলে আশা করি করে বিরাগভাজন হবার আশঙ্কা নেই। আর, তাহলে বাকী যা রইল তার মানে দাঁড়াল এই যে-সাধুতা আর সতীত্বে ভারত-ললনা জগতে অতুলনীয়া। কিছুদিন আগেও যে দেশে ধরে বেঁধে “সতী” করবার প্রথা প্ৰচলিত ছিল, সে দেশের পক্ষে এমন ধারা দাবী একেবারে অসঙ্গত বলে উড়িয়ে দেওয়া চলে না ! পাতিব্ৰত্য যে হিন্দুরমণীর পক্ষে একটা জাতিগত সংস্কার এবং জন্মগত উত্তরাধিকার, সে কথা মেনে নিয়েই আমি বর্তমান প্ৰবন্ধের अवडोद्धeी कईि ।