পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&n 8 সবুজ পত্ৰ Vetút, Yvo:8 “সূৰ্যমুখী কি কেবল আমার স্ত্রী ? সূৰ্যমুখী আমার—সব। সম্বন্ধে স্ত্রী, সৌহার্দে ভ্রাতা, যত্নে ভগিনী, আপ্যায়িত করিতে কুটুম্বিনী, স্নেহে মাতা, ভক্তিতে কন্যা, প্ৰমোদে বন্ধু, পরামর্শে শিক্ষক, পরিচর্য্যায় দাসী। আমার সূৰ্যমুখী-কাহার এমন ছিল ? সংসারে সহায়, গৃহে লক্ষনী, হৃদয়ে ধৰ্ম্ম, কণ্ঠে অলঙ্কার ! আমার নয়নের তারা, হৃদয়ের শোণিত, দেহের জীবন, জীবনের সর্বস্ব ! আমার প্রমোদে হৰ্ষ, বিপদে শান্তি, চিন্তায় বুদ্ধি, কাৰ্য্যে উৎসাহ ! আর এমন সংসারে কি আছে ? আমার দর্শনে আলোক, শ্রবণে সঙ্গীত, নিশ্বাসে বায়ু, স্পর্শে জগৎ ! আমার বাৰ্ত্তমানের সুখ, অতীতের স্মৃতি, ভবিষ্যতের আশা, পরলোকের পূণ্য ।” রোহিণীকে হত্যা করবার আগে গোবিন্দলালও ভ্ৰমর সম্বন্ধে অনেকটা এই ধরণের মতই ব্যক্ত করেছিলেন। তবে, তখন সময়টা D DBDB D KBDBDBS BD DDu TBDBDDBD BKBD DD DB DBDS ব্যাপারটা স্বভাবতঃই এর চেয়ে একটু সংক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। এ দুটী জায়গা পড়লেই আমার মনে হয়—“এত যদি সুখ তোমার কপালে, তবে কেন তোমার কঁথা বগলে ?” বস্তুতঃ আমাদের দেশে কঁথা বগলে না। আসা পৰ্য্যন্ত এ সব কথা ভাববার অবসর কোনো স্বামীরই হয় না-কারণ “পুড়বে নারী উড়বে ছাই, তবে নারীর গুণ গাই”- এই হচ্ছে আমাদের দেশাচার । ও সব কথা যাক। এখন আমি একটু গোলে পড়েছি। ঐ “কেবল স্ত্রী।” কথাটী নিয়ে। নগেন্দ্রনাথের কথায়-“সূৰ্য্যমুখী কেবল তার স্ত্রীর ছিলেন না। তিনি-সম্বন্ধে স্ত্রী, সৌহার্দে ভ্ৰাতা, যত্নে ভগিনী, আপ্যায়িত করিতে কুটুম্বিনী, স্নেহে মাতা, ভক্তিতে কন্যা, প্রমোদে