পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R সবুজ পত্ৰ বৈশাখ, ১৩২৪ আছে, অপরপক্ষে বঙ্কিমের মতেই সে ভাষা তিরস্কৃত । লোকের রুচি ভিন্ন, এবং সেকালের পণ্ডিত মহাশয়দের চাটুনিতে অরুচি ছিল না । তারা যে রঙ্গরসের বিরোধী হওয়া দূরে থাকুক, অতিরিক্ত পক্ষপাতী BDDYqDD KSD CD DBBB DDBB DBBuDuS DBBDD D BBuS লেখক মৃত্যুঞ্জয় তর্কলঙ্কার মহাশয়ের গ্ৰন্থ দুই বন্ধুতে একত্র বসে পাঠ | | 4. ( A ) আসলে বাড়াবাড়িটে করেছিলেন ইংরেজি শিক্ষিত দলের সেই মুখপাত্রেরা-যারা বঙ্গসাহিত্যের রাজ্য থেকে তৎসম শব্দকে বহিষ্কৃত করবার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছিলেন। এই টােল আর কলেজের ঝগড়াটা বঙ্গসাহিত্যে বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্রের বাগড়া। ইংরেজি শিক্ষার বলে যারা বাঙ্গলার নব-ব্ৰাহ্মণ হয়ে উঠেছিলেন, ক্ষত্ৰিয়ের তেজ তাদের শরীরেই ছিল। তঁরা যদি তঁদের মতানুসারে নব-বঙ্গসাহিত্য গড়ে তুলতেন-তাহলে সে সাহিত্য যে বিশ্বামিত্রের স্বষ্টি হত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয় নবীন বয়েসের নবীন উৎসাহে একখানি কাব্য রচনা করেন, যার ভিতর যুক্তাক্ষরের নামগন্ধও ছিল না ; সে কাব্যের নাম “গোচারণের মাঠ”। যদি গদ্যলেখকেরাও তঁর দেখাদেখি সাহিত্য রচনা করতেন, তাহলে বঙ্গসাহিত্যের ক্ষেত্ৰ যে গোচারণের মাঠ হয়ে উঠত, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই । বঙ্কিমচন্দ্ৰ যে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মত, ষোল-আনা না হোক চোঁদ আনা অনুমোদন করতেন, সে কথা তিনি নিজ জবানি কবুল করে