পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO O সবুজ পত্ৰ छ्त्रांशिंन ७ श्रुढिंद, s७२8 হয় সকলেই মানিবেন। একটা প্ৰবল অত্যাচারের হাত থেকে দুর্বলের রক্ষার জন্যই ইহার সৃষ্টি, অনেকে এইরূপ বুঝেন। ফল কথা একটা সাময়িক অবস্থার বিচার হইতেই এই আচারের আবির্ভাব। কিন্তু এখন আবার সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়, বিচার এই আচারটাকে একটু বদলাতেই চায়। আচার বিচারের এই কাজে বাধা দিতে ছাড়ে নাই, কিন্তু দুই এক পা করিয়া হঠিয়াছে। যাহারা এই প্ৰথােটাকে একটু বেশী মাত্রায় লঙ্ঘন করিয়াছেন, তঁহাদের উপর রাগিয়াই উঠি, আর ঠাট্টাই করি কেহই আর এই প্রথাটিকে পূর্বের মত কড়া করিয়া ब्रांशिgड °ilब्रिडछेि नां । বিচারের তাড়নায় আচারের বঁাধন ক্ৰমে শ্লেথ হইতেছে। অসুৰ্যম্পষ্ঠরূপার ক্রমে দ্বিপ্রহরের রৌদ্রস্নাত রেলওয়ে-মঞ্চে গিয়া দেখা দিতেছেন । লোকের ভিড়ের মধ্যে দেড় হাত ঘোমটা দিয়া কি আর দোড়ধাপ করা চলে, কাজেই সেটার ও বহর • ক্রমে কমিয়া আসিল । অসূৰ্য্যাম্পশ্যরূপার যুগটাকে এখন আর বঁাধিয়া রাখা অসম্ভব হইয়া উঠিতেছে। যেরূপ ব্যাপার, কালে এ শব্দটা দেখিতেছি শুধু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সীতার বনবাসেই থাকিয়া যাইবে, বাঙ্গালীর গৃহবাসে উহা বড় আর লক্ষিত হইবে না। তবেই দেখা যাইতেছে প্ৰধানতঃ দুই প্ৰকার স্থলে বিচার আচারকে লইয়া একটু বোঝা পড়া করিতে চায়। এক, যখন প্ৰথাবিশেষের অপব্যবহার ঘটে, দ্বিতীয়, যখন দেশ-কাল-পাত্রের পরিবৰ্ত্তিত অবস্থার সঙ্গে সেটা খাপ খায় না। এই দুই রকমের দুইটি মাত্র .প্রথার এখানে উল্লেখ করা গিয়াছে। সমগ্ৰ মানব-সমাজ ও তাহার ইতিবৃত্ত খুজিলে বহু দৃষ্টান্ত মিলিবে। তবে এইরূপ প্রথাগুলি ঐ