পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: R अंदू °ांख खैनि ३ éि, भ७२8 সেটা হচ্ছে সংযমের বক্তৃত। সবুজ-দমনে সঙ্গীন-হস্ত সম্প্রদায়ের মুখে সংযমের বক্তৃত সাজে৷ ভালো, ছোটে খুব ! বোধ হয় এই জন্যেই তঁদের মুখের সংযমের বক্তৃতার কাৰ্য্যকারিত “শান্তির বারি”র চাইতে শিলাবৃষ্টির সঙ্গেই মেলে বেশী ! তবু, এ কথার আলোচনা আমাদের করতেই হবে। হতে পারে, সবুজের বিরুদ্ধে সংযমের অভিযোগ একেবারে মিথ্যা। নয় । কিন্তু প্ৰবীণের পক্ষে জলে না নেমে সাতার কাটবার কল্পনা মনে স্থান দেওয়া যে নিতান্তই “মথ্যাচারী”-সে সম্বন্ধে আর দুই মত व्gड °{tद्म भ। যে কাজ করে, ভুল করবার সম্ভাবনা তার চিরদিনই থাকে। যে চলেছে মাঝে মাঝে পথভ্ৰষ্ট সে হয়ে ও থাকে । তাই বলে কি হাত পা গুটিয়ে বসে থাকাই বুদ্ধিমানের কৰ্ম্ম ? জাতীয়-জীবনে কৰ্ম্মের উদ্দীপনা এলে অধিকারের সীমা মাঝে মাঝে অনধিকারের রাজ্যে গিয়ে পড়বেই। তাই বলে বগীর ভয় দেখিয়ে, দেশের সব নবীন প্ৰাণকে ঘুম পাড়িয়ে রাখাই কি বুদ্ধিমানের উপদেশ ? পাটোয়ারী হিসেবে লাভ লোকসান খতিয়ে দেখে, সংযম আর সংকল্পের পাইকারী দীর যাচাই করে, উদ্দীপনার আমদানী রপ্তানী ভাবের হাটে কোনো দিনই সম্ভবপর হয় না ; এ কাজ করতে যারা বিশেষ ভাবেই ব্যগ্ৰ, কাজেই তঁদের সম্বন্ধে স্বভাবতঃই সন্দেহ আসে—তারা বুঝি কাজ না করবার ছুতো খুজতেই ব্যস্ত! উচ্ছাস যেখানে নেই, সংযম সেখানে নিরর্থক। উপাৰ্জনের উম্মদেন যেখানে কোনো কালেই ছিল না,-সঞ্চায়ের সংযম সেখানে কোন কাজে লাগবে ? গ্রীষ্মের বিশ্বগ্ৰাসী রৌদ্রলীলাই তা পরবত্তী বর্ষার মেঘ-মেদুর স্তব্ধতাকে সাৰ্থক করে দেয়।