পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Ry সবুজ পত্ৰ wifta e vtfés, so কিন্তু “যুগে যুগে পলে পলে দিন রজনী।” যে চলে আসছে সে যদি হঠাৎ একদিন গোঁফে চাড়া দিয়ে এসে কবির সম্মুখে দাঁড়িয়ে যেত তবে সেটা আর গীতি-কবিতা থাকত না, সেটা হ’য়ে পড়তে রয়টারের তারের খবর-একেবারে চাক্ষুষ, জাজ্জ্বল্যমান, নিরেট অর্থযুক্ত,-আর তারপর যদি সে পকেট থেকে একটা চুরুট বের করে সেটা খেতে খেতে চাষ আবাদের খবর জিজ্ঞেস করত। তবে ত কথাই নেই--সেটা যে হ’ত ভীষণ ভাবে বস্তুতান্ত্রিক তাতে সন্দেহ নেই-কিন্তু গীতি-কবিতার তাতে লাভের চাইতে ক্ষতি হ’ত অনেক বেশী ; কিন্তু তার চাইতেও বেশী BDBDBD uD kDDB S S SBD STB DDBB মানুষের অন্তরে দুটাে সুরের তার রয়েছে। তার একটাতে বাজে সান্তের সুর আর একটাতে গুপ্ত হয়ে রয়েছে অনন্তের সুর। আমরা কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর মধ্যে ঐ সান্ত সুরাটাই নিশিদিন বাজিয়ে চলেছি। কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে কারণে অকারণে সময়ে অসময়ে ঐ আনস্তের সুরাটাও কারও কারও অন্তরে এক একবার করে” ঝঙ্কার দিয়ে ওঠে। আর ঐ আনন্তের সুরাটা মানুষের অন্তরে মাঝে মাঝে ঝঙ্কার দিয়ে এসেছে বলে।” মানুষ আজকার যা তাই। নইলে সেই আদিম কালের অন্ধকার যুগে তীর ধনুক দিয়ে বন্য পশু শীকার করতে করতে তার হাতে কড়া পড়ে যেত। কিন্তু তার মনের গায়ে কোন দাগ পড়বারই অবসর পেত না । কেবল তাই নয়। এই অনন্তের সুর মাঝে মাঝে আমাদের মধ্যে ঝঙ্কার দিয়ে ওঠে বলে আমরা সাহস করে ভাবতে পারি। যে বাস্তবিক আমরা তেমন বদ্ধজীব নই-আমাদের একটা মুক্তির দিক ও আছে। এই যে রক্তমাংসের শরীর তা যতই নিরেট হোক না কেন, যতই ‘