পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द९लांद्ध ८तथi> दभिव्ली। O হরিকে সে কেন অরি বলে, এক চাষার কাছে কৈফিয়ৎ, চাওয়ায় সে উত্তর করে-“কইতে কই অরি। কিন্তু নিকুতে নিকি অরি।” আমরা, বাঙালীরা, কইতে কই বাংলা, কিন্তু লিখতে লিখি সংস্কৃত-অন্তত, লেখবার বেলা সংস্কৃত-গোচের একটা সাধু-ভাষার চর্চা ক’রে আসা গেছে ; যাতে ক’রে অনেক সময়, দ্বিজু রায়ের গানের গ্রন্থকারের রচনার মত, ‘দিনের মত বিষয় হত রাতের মত অন্ধকার, জলের মত বিষয় হত ইটের মত শক্ত ।” বাংলা ব্যাকরণ সংস্কৃত ব্যাকরণ নয়, এ সহজ তত্ত্বের ইঙ্গিভমাত্র করলে কিছুদিন আগে হৈ-হৈ রৈ-রৈ ব্যাপার বেধে যেত। ক্ৰমে, কি ভাগ্যি, সত্যি কথাগুলি আমাদের দেশের লোকের গা-সওয়া হয়ে আসছে। বাঙালীর বুকের পাট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষাটাও ক্রমশ নিজমুৰ্ত্তি ধ’রে সেবকদের কাছে দেখা দিচ্ছে। ংস্কৃত-ছাদে চলিবার চেষ্টা ক’রে বাংলা ভাষার যে দুৰ্গতি হয়েছে তার খবর আমরা মাঝে মাঝে সবুজ পত্রের পাতায় সম্পাদক মশায়ের কলম থেকে পেয়ে থাকি। সম্প্রতি, যে গবেষণার ফলে শ্ৰীযুক্ত সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় প্ৰেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি পেয়েছেন, তার এক অংশ দেখার সুযোগ ঘটায়, খাটি বাংলায় যত রকমের শব্দ শোনা যায়। তার লিপি হিসেবে সংস্কৃতের নকল-করা বর্ণমালা কতটা খাপ-ছাড়া, তা বুঝতে আর বাকি নেই।