পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 সবুজ পত্ৰ ब*ां४, १९२8 জাপানের মনটাই ছিল স্বভাবত জঙ্গম-লম্বা লম্বা দশকুশি তালের গাম্ভারি চাল তার নয়। এই জন্যে সে এক দৌড়ে দু’। তিন শো বছর হু হু করে পেরিয়ে গেল। আমাদের মত যারা দুর্ভাগ্যের বোঝা নিয়ে হাজার বছর পথের ধারে বটতলায় শুয়ে গড়িয়ে কাটিয়ে দিচ্চি, আমরা অভিমান করে বলি, “ওরা ভারি হালকা ; আমাদের মত গাম্ভীৰ্য্য থাকলে ওরা এমন বিশ্ৰী রকম দৌড়ধাপ করতে পারত না । সঁচা জিনিস। কখনও এত শীঘ্ৰ গড়ে উঠতে পারে না।” আমরা যাই বলি না কেন, চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্চি, এসিয়ার এই প্ৰান্তবাসী জাত যুরোপীয় সভ্যতার সমস্ত জটিল ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ জোরের সঙ্গে এবং নৈপুণ্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারচে। এর একমাত্র কারণ, এরা যে কেবল ব্যবস্থাটাকেই নিয়েচে তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে মনটাকেও পেয়েচে। নইলে পদে পদে অস্ত্রের সঙ্গে অস্ত্রীর বিষম ঠোকাঠুকি বেধে যেত, নইলে ওদের শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষার লড়াই কিছুতেই মিটােত না, এবং বৰ্ম্ম ওদের দেহটাকে দিত পিষে । মনের যে জঙ্গমতার জোরে ওরা আধুনিক কালের প্রবল প্রবাহের সঙ্গে নিজের গতিকে এত সহজে মিলিয়ে দিতে পেরেচে, সেটা জাপানী পেয়েচে কোথা থেকে ? জাপানীদের মধ্যে একটা প্ৰবাদ আছে যে, ওরা মিশ্র জাতি । ওরা একেবারে খাস মঙ্গোলীয় নয়। এমন কি, ওদের বিশ্বাস ওদের সঙ্গে আৰ্য্যরক্তেরও মিশ্রন ঘটেচে। জাপানীদের মধ্যে মঙ্গোলীয় এবং ভারতীয় দুই ছাঁদেরই মুখ দেখতে পাই, এবং ওদের মধ্যে বর্ণেরও বৈচিত্ৰ্য যথেষ্ট আছে। আমার চিত্রকর বন্ধু টাইকানকে বাঙ্গালী