পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sंव, नव ग६ 9 ve 9 to তার কবিত্ব যে সুগভীর ও সুন্দর, তার নিষ্ঠ যে অতি মহৎ, তার ফল যে অতি উত্তম, সিম্বলিজমটাই যে আইডিয়ালিজম এ কথা বাবা আজকাল আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে সময়ে অসময়ে আলোচনা করেছেন। আমি রসনাকে থামিয়ে রেখেচি কিন্তু মনকে ত চুপ করিয়ে রাখতে পারি নি। যে-কথাটা মুখের আগার কাছে এসে ফিরে যেত সেটা হচ্ছে এই যে, এ সব যদি আপনি মানেন তবে পালাবার বেলায় মুরগি পালেন কেন ? আরো একটা কথা মনে আসত ; বাবাই একদিন দিনক্ষণ পালপাৰ্বণ বিধিনিষেধ দান দক্ষিণ নিয়ে তঁর অসুবিধা বা ক্ষতি ঘটলে মাকে কঠোর ভাষায় এ সব অনুষ্ঠানের পণ্ডিত নিয়ে তাড়ন করেচেন। মা তখন দীনতা স্বীকার করে, অবলা জাতি স্বভাবতই অবুঝ বলে’, মাথা হেঁট করে বিরক্তির ধাক্কাটা কাটিয়ে দিয়ে ব্ৰাহ্মণ ভোজনের বিস্তারিত আয়োজনে প্ৰবৃত্ত হয়েচেন । কিন্তু বিশ্বকৰ্ম্ম লজিকের পাকা ছাঁচে ঢালাই করে জীব সৃজন করেন নি । অতএব কোনো মানুষের কথায় বা কাজে সঙ্গতি নেই। এ কথা বলে তাকে বাগিয়ে নেওয়া যায় না, রাগিয়ে দেওয়া হয় মাত্র । ন্যায়শাস্ত্রের দোহাই পাড়লে অন্যায়ের প্রচণ্ডত বেড়ে ওঠে,-যারা পোলিটিকাল বা গাৰ্হস্থ্য অ্যাজিটেশনে শ্রদ্ধাবান তাদের এ কথাটা মনে রাখা উচিত । ঘোড়া যখন তার পিছনের গাড়িটাকে অন্যায় মনে করে” তার উপরে লাথি চালায় তখন অন্যায়টা ত থেকেই যায় মাঝের থেকে তার পাকেও জখম করে। যৌবনের আবেগে অল্প একটুখানি তর্ক করতে গিয়ে মামার সেই দশা হল। পৌরাণিকী মেয়েটির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেল বটে কিন্তু বাবার আধুনিক যুগের তহবিলের আশ্রয়ও খোওয়ালুম। বাবা বল্পেন,