পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ad वर्ष, नवभ ग९था | Vövs tRQ মানে নেই। কেউ কেউ ভদ্রতার সঙ্গে খোসামুদিীর তফাৎ করতে পারেন না বলে’ নিজের মানিরীক্ষার জন্য পারকে অপমান করা অবশ্যক এবং কৰ্ত্তব্য বোধ করেন। কিন্তু এ দু’য়ের মধ্যে যথেষ্ট প্ৰভেদ আছে বলে'ত আমার বিশ্বাস।-ভদ্রতার সর্বভুতে সমান দৃষ্টি, খোসামুদির দৃষ্টি কেবল নিজের প্রতি ; ভদ্রতা নিজের অসুবিধা করেও পরের সুবিধা করে দিতে উৎসুক, খোসামুদি নিজের সুবিধাটুকুই বোঝে ও খোঁজে ; ভদ্রতা চৌকোষ, সরল ও সুন্দর,-খোসামুদি একপেশো, কুটিল ও কুৎসিৎ । স্বীকার করি, বড়লোক দেখলে মানুষের মুখের ভাব আপনাহতেই একটু মোলায়েম হয়ে আসে, গলার স্বর অজ্ঞাতসারে অভিকোমল সুরে নাবে। ; এবং বিলাসপুরের মহারাণী তোমার আমার বাড়ী পায়ের ধুলো দিলে তঁর সমাদরের জন্য তুমি আমি যত ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ব, ও-পাড়ার পাচিধোবানী বেড়াতে এলে মোটেই সেরকম হব। না ! কিন্তু বহুকালের অভ্যন্ত সামাজিক স্তরভেদঘটিত ব্যবহারতারতম্যের সঙ্গে স্বাৰ্থমূলক বাড়াবাড়ির যে তফাৎ, আশা করি চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা” দেখানে অনাবশ্যক। গায়ে পড়ব না মনে করলেই কি দশ হাত দুরে থেকে মানুষকে নখী দন্তী শৃঙ্গার দলে ফেলতে হবে ?-দুঃখের বিষয়, যতদিন বড়লোকমাত্রই প্ৰায় খোসামোদের বশ থাকবেন, এবং যতদিন পৃথিবীতে বড়ছোেটর মধ্যে অবস্থা ও ক্ষমতার এমন আকাশ পাতাল প্ৰভেদ থাকবে,-ততদিন খোসামোদকে সমাজ থেকে তাড়ানো মুস্কিল, ভদ্রতাকে এইরকম অনেকে ছদ্মবেশীরূপে ব্যবহার করে বলে’ অতিভদ্রতাকে লোকে যেন সন্দেহের চক্ষে দেখে ; কারণ তারা ঠেকে শিখেছে যে অতিনাম বিনীত ব্যবহারই দুরভিসন্ধির স্বাভাবিক অত্র । ধৰ্ম্মের বাহাড়ম্বরও এই দোষে দুষিত। সংসারে জহর দুর্লভ