পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, নবম সংখ্যা VesV5 NO) কাৰ্য্যে পৰ্য্যন্ত প্ৰশ্ৰয় দিয়ে অন্তরাত্মার অবমাননা করা হয়। কেন এ বিড়ম্বনা ?--তার চেয়ে গোড়ায় স্পষ্ট অথচ ভদ্রভাবে ‘না’ বলতে বা প্ৰতিবাদ করতে পারলে দু’পক্ষেরই ভৱিষ্যতে অনেক অসুবিধা বেঁচে যায়, এবং মতান্তর থেকে মনান্তর। পৰ্য্যন্ত গড়ায় না। “ভালমানুষকে যেমন আমরা “গো-বেচারা’র দলে ফেলেছি, তেমনি ভদ্রলোক বলতেও যেন দাড়িয়েছে এই যে, তাকে যে-সে। মনে করলেই ফাকি দিতে ও ঠকিয়ে নিতে পারে ;-"বৈকুণ্ঠের খাতা' দ্রষ্টব্য। ভদ্রতার সঙ্গে একটু দৃঢ়তা মেশানোই উক্ত রোগের একমাত্র চিকিৎসা। অমায়িক অথচ আত্মপ্ৰতিষ্ঠ, লোকপ্ৰিয় অথচ সত্যনিষ্ঠ,-এমন সম্মিশ্রণ কেন এদেশে এত দুর্লভ ? কেন খাটি লোক যেন রুক্ষম হতেই বাধ্য, এবং শিষ্ট শান্ত ব্যক্তির উপর জুলুম হওয়াটাই নিয়ম ?--তাও বলি যে, দাতা ও গ্রহীতা না হলে যেমন দান সম্পূর্ণ হয় না, তেমনি অনুরোধকারী ও মাত্ৰা বুঝে পেড়াপিড়ি করলে তবেই ভদ্রত রক্ষা করা সম্ভব, -नदेcल उायथ। नि °gव्न छेिgड कडयो ! এইটেই ভদ্রতার প্রধান অসুবিধা,-যে অন্য লোকে শেষ পৰ্যন্ত তার সুবিধাটি আদায় করে নিতে পারে, তার প্রতি অন্যায় দাবি করতেও কুষ্ঠিত হয় না,-কারণ ভদ্রলোক বেচারা কপালে হুণ্ডির ছাপ মেরে বসে” আছে। ভদ্র এবং অভদ্রের সংঘর্ষে প্রথমোক্তকেই অনেক সময় হার মানতে হয়, কেননা পুর্বেই বলেছি কতকগুলি অস্ত্ৰপ্ৰয়োগ তার ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ; অভদ্রের ত সে বালাই নেই। গল্প শুনেছি যে বিলাতে বড়লোকের রাস্তাঘাটে পারাৎপক্ষে ছোটলোকদের অপমুনিসূচক টিটুকারীর প্রতিবাদ বা প্ৰতিকার করেন না,-বিশেষতঃ যদি কোন ভদ্রমহিলা সঙ্গে থাকেন।