পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২৪ মন-গড় নিয়ম মানলেই তা যথেষ্ট হ’ল না। দশজনকে যদি সঙ্গে নিতে চাই ত, সাময়িক অবস্থা বুঝে যা” রায় সয় এমন নিয়মই চালাবার চেষ্টা করতে হয়। যা’ কালের অতল বিস্মৃতিসাগরে চিরবিলুপ্ত, তীরে বসে বসে’ তা”কে পুনরুদ্ধার করবার বৃথা চেষ্টায় সময় নষ্ট না করে-এখনো যেটুকু দেশীয়তা প্রচলিত আছে, সেটুকু য’তে নব্যভাবের সঙ্গে জড়িত হয়ে স্থায়িত্ব লাভ করে, সেইদিকেই লক্ষ্য রাখা উচিত। যথা :- ব্ৰাহ্মণের প্রাপ্য অভিবাদন সব জাতেই যেন সমানভাবে পায়, ‘শ্ৰীমতী’ ও ‘দেবী” প্ৰভৃতি সম্মানার্থক সম্বোধনই য’তে সমাজে প্ৰচলিত হয়, ইত্যাদি। . আত্মীয়তার বাইরেই ভদ্রতার পূর্ণ প্ৰকাশ ও প্রয়োজনীয়তা যেমন উপলব্ধি করা গেল, তেমনি সেই বাইরের সমাজে আবার কথোপকথনের ক্ষেত্রেই তার চরম বিকাশ লক্ষিত হয় ; কারণ ক্ষণিক মেলমোশার সঙ্কীর্ণ অবকাশে পরস্পরের জন্য হাতেকলমে বিশেষ কিছু করবার সুযোগ কমই পাওয়া যায়। স্ত্রীলোককে পুরুষমানুষে যে ছোটখাটো সাহায্যগুলি করতে পারে ও করলে ভাল দেখায়, পুরুষসমাজে পরস্পরের মধ্যে তাও বিশেষ আবশ্যক হয় না,-অবশ্য বয়সের বেশি। তফাৎ না থাকলে। কিন্তু সমবয়সী ও সমকক্ষ পুরুষ সমাজের কথোপকথনস্থলেও আমাদের কতকগুলি জাতীয় দোষ প্ৰকাশ পায়, য’ সংশোধন করতে পারলেই ভাল। মেয়েরাও সে দোষবর্জিত নন। প্ৰথমতঃ, আমরা প্ৰায় সকলেই বেশি চেচিয়ে কথা কই ; দ্বিতীয়তঃ, তর্ক“স্বলে আমরা অধিকাংশ লোকেই চটে গিয়ে কুটতর্ক, জিদ বা ব্যক্তিগত খোঁটার আশ্রয় নিই ; তৃতীয়তঃ, আমরা অন্যের কথা শেষ হওয়া পৰ্যন্ত অপেক্ষ না করে অধীরভাবে মাঝে বাধা দিয়ে কথা বলি-( হিন্ত অথচ