পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

adí ቐቑ, ሻማማ ሻኛቂÍ 外酋 যার দেহে রজোগুণ নেই, তার মনে সত্ত্বগুণ থাকতেই পারে না । যে আঙ্গুরের নাগাল পাওয়া যায় না, সে আঙ্গুরকে খাট্টা বলায়-কি আধ্যাত্মদর্শন কি ভৈষজ্যবিজ্ঞান কোনটিরই পরিচয় দেওয়া হয় না । কথামালার শৃগালকে আমরা ছাড়া আর কেউ ত্যাগী পুরুষ বলে মান্য করেনি । এই বিলাপ, ও প্ৰলাপের জমির উপর অবশ্য গুটিকয়েক এমন ফুল ফুটে উঠেছে যার বর্ণে সাহিত্য-গগন উজ্জ্বল আর যার গন্ধে সাহিত্য-জগৎ আমোদিত হয়ে উঠেছে। এর কারণ সাহিত্য-জগতের যারা মহাপুরুষ, তঁদের প্রতিভা যুগধৰ্ম্মের একান্ত অধীন নয়। তাই বলে কবি-প্ৰতিভা কিছু আর স্বকালের সম্পূর্ণ বহির্ভূত ও নয়। উদাহরণস্বরূপ রবীন্দ্ৰনাথের কবিতা নেওয়া যাক ; এ কবির কাব্যের পর পর চারিটি বেশ স্পষ্ট পৃথক যুগ আছে। মোটামুটি হিসেবে, এ কবির প্রথম যুগের সুর আনন্দের, দ্বিতীয় যুগের বেদনার, তৃতীয় যুগের বিদ্রোহের এবং চতুর্থ যুগের মুক্তির। কিন্তু তার প্রথম যুগের আনন্দ ও নিরাবিল নয়, তার অন্তরেও হয় বেদনা, নয় বিদ্রোহের সুর ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এতে আশ্চৰ্য্য হবার কিছু নেইজাতীয় জীবনের নিজ জীবতার প্রতি আর যিনিই হোন কবি কখনই উদাসীন হতে পান না ; কেননা মহাপ্ৰাণতাই হচ্ছে কাব্যের ett i ( 8 ) তার পর নজরে পড়ে যে এ সাহিত্য আর্টিষ্টিক নয়। এর কারণ এ সাহিত্য মুখ্যতঃ এবং স্পষ্টতঃ উদ্দেশ্যমূলক এবং সে উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় জীবনের উন্নতি সাধন । গত একশত বৎসর