পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক ইতিহাস । বাঙ্গালী যে নিজের দেশের ইতিহাস অনুসন্ধানে উৎসাহহীন, স্বদেশের প্রাচীন কাহিনীর জন্য বিদেশীর দ্বারস্থ, কিছুদিন পুর্বেও এই সুব কথা তুলিয়া আমরা পরস্পরকে লজ্জা দিয়া এ বিষয়ে সজ্ঞান করিবার চেষ্টা করিতাম। সেদিন এখন কাটিয়া গিয়াছে। বাঙ্গলার গ্রাম খুজিয়া, মাটী খুঁড়িয়া বাঙ্গালীই এখন তাম্রশাসন এবং শিলালিপি বাহির করিতেছে, বাঙ্গালী পণ্ডিত তাহার পাঠোদ্ধার ও অর্থোদ্ধার করিতেছে, বাঙ্গালী প্রত্নতত্ত্ববিদ তাহার ঐতিহাসিক তথ্য ও মূল্য নির্ণয় করিতেছে। বাঙ্গালী, ঐতিহাসিককে বাদ দিয়া এখন আর বাঙ্গলার ইতিহাস লেখা সম্ভবপর নয় । বাঙ্গল সাহিত্যের আকাশে যে অন্ধকার ঘনাইয়া আসিতেছে। আশা করা যায় ইতিহাসের মশাল তাহার একটা কোণ রক্তিম কারিয়া রাখিবে । অমিদের এই নবীন ইতিহাস চর্চায় যারা অগ্ৰণী তারা একটা কথা খুব স্পষ্ট করিয়াই সকলকে বলিতেছেন। তঁরা বলেন তঁরা যে ইতিহাস অনুসন্ধান ও রচনা করিতেছেন তাহা পুরাণো ধরণের পাঁচমিশালো ঢিলঢালা ইতিহাস নয়। তঁদের রচিত ইতিহাস ‘বিজ্ঞানসম্মত” ইতিহাস, এবং তঁরা যে প্ৰণালীতে ঐতিহাসিক সত্যের অনুসন্ধান করেন তাহ “বিজ্ঞানানুমোদিত-ঐতিহাসিক-প্ৰণালী’ । ইতিহাসের সম্বন্ধে এই ‘বিজ্ঞানসম্মত’ ও ‘বিজ্ঞানুমোদিত” প্রভৃতি বড় বড় কথাগুলির প্রকৃত অর্থটা কি তাহার আলোচনার সময়