পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્ષ จส. ssa 3'eri 2छॉनिक हेंडिश्न l ম্যাক্সওয়েল জম্মিয়াছেন। কিন্তু এডিসনের জন্ম হয় নাই। যদি সত্যই এই ঘটনাটা ঘটিত, তাহা হইলে জনসাধারণের কাছে আধুনিক জড়বিজ্ঞানের আজ যে আদর ও মৰ্যাদা আছে তাহার কিছুই থাকিত না। এবং কি ঐতিহাসিক কি অনৈতিহাসিক জড়বিজ্ঞানের গণ্ডীর বাহিরে কোন ও পণ্ডিতই নিজের শাস্ত্ৰকে “বিজ্ঞানসম্মত’ বলিয়া প্রচার করিবার জন্য অত ব্যস্ত হইতেন না। কারণ এই ব্যস্ততার মুলে আছে শাস্ত্রটাকে ‘বিজ্ঞান” নাম দিয়া জনসমাজে জড়বিজ্ঞানের প্রাপ্য যে মৰ্য্যাদা তাহার কিছু অংশ আকর্ষণ করিবার লোভ। ‘নামে যে কিছু যায় আসে না” এ কথাটা কবি বসাইয়াছেন প্রেমোন্মাদিনী কিশোরীর মুখে, এবং সেইখানেই ও তত্ত্ব শোভা পায়। প্রকৃতপক্ষে মানবসমাজের অৰ্দ্ধেক কাজ নামের জোরেই চলিয়া যাইতেছে, এবং পণ্ডিত-সমাজকে ও সে সমাজ হইতে বাদ দিবার কোনও সঙ্গত কারণ Qሻቔ ቕiጻ ail ! নিজের শাস্ত্রকে বিজ্ঞান এবং শাস্ত্রালোচনার প্রণালীকে বৈজ্ঞানিক বলিয়া নিজের ও পরের মনকে বুঝাইবার যে ইচ্ছ। তাহার আরও একটু গভীরতর কারণ আছে। যখনি কোনও একটা বিদ্যার হঠাৎ অভূতপূর্ব উন্নতি হইয়াছে তখনি সেই বিদ্যার অনুস্থত প্ৰণালীটাকে সব তালার একমাত্ৰ চাবী মনে করিয়া তাহারই সাহায্যে সমস্ত শাস্ত্ৰেই সস্তব অসম্ভব ফললাভের চেষ্টার পরিচয়, ইউরোপের চিন্তার ইতিহাসে বারবার দেখা গিয়াছে। দশমিক রাশির আবিষ্কারের ফলে প্ৰাচীন গ্রীসে যখন পাটিগণিতের প্রতিষ্ঠা হুইল তখন এই রাশিক্ৰমটীর গুণ আর শক্তিসম্বন্ধে পণ্ডিতদের বিস্ময়ের আর সীমা রহিল না। ইহাতে আশ্চৰ্য্য হইবারও কারণ নাই। যে গণনা মেধাবী পণ্ডিতেরও