পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qky সবুজ পত্ৰ জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ DD BDDD BBDBB0 DDD BDB DBDBBD DDBSS BBB পাকা রাস্ত থাকিলে কি বিজ্ঞানে কি ইতিহাসে প্ৰতিভাবান ও প্রতিভাহীনের একদর হইত। কিন্তু প্ৰতিভাবান ছাড়া ত কেহ ইতিহাস গড়িয়া তুলিতে পারে না। এ মজুরের দালান গাথা নয় যে ইটের উপর ইট বসাইয়া গেলেই হইল । যে উপাদান লইয়া সাধারণ লোকে কিছুই করিতে পারে না, ঐতিহাসিক প্রতিভা যার আছে তিনি তাহা হইতেই সত্যের কল্পনা করিতে পারেন এবৃৎ অনুসন্ধানে সেই কল্পনা সত্য বলিয়া প্ৰমাণ হয়। সব রকম বড় সত্যে পৌছিবারই এই পথ। তারপর এও ভুলিলে চলিবে না যে ঐতিহাসিকের আসল কাজ ধ্বংশ করা নয় গড় । সত্য অনুসন্ধানের একটা অসম্ভব আদর্শ। খাড়া করিয়া কিছুই বিশ্বাস করি না বলিয়া মুখ ফিরাইয়া বসিয়া থাকিলেই যে ঐতিহাসিক সত্য আসিয়া, হাতে ধরা দিবে। এমনও বোধ হয় না । হয় ত উত্তরে শুনিব যে বিজ্ঞানের যেটা লীলাভূমি সেই সাগর পারে বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের নিয়ম কানুন কাটা ছাটা হইয়া ঠিক হইয়া গিয়াছে। সুতরাং ইতিহাসের যে একটা বিজ্ঞানসম্মত প্ৰণালী আছে তাহাতে আর সন্দেহ করা চলে না । এই আইন কানুন যে ঠিক হইয়াছে তাহাতে সন্দেহ করি না। কিন্তু তাহা হইল সমুদ্রপারের ঐতিহাসিক পণ্ডিতদের ‘বিজ্ঞান বিজ্ঞান” খেলা। এ খেলার প্ৰবৃত্তি কেন হয়। এ প্ৰবন্ধে তাহাই দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছি। সুতরাং লর্ড অ্যাক্টন বা সীলীর বচন তুলিয়া কোন লাভ নাই। মানবজাতির মুক্তির জন্য ভগবান তথাগত যে চারটীি মহাসত্যের প্রচার করিয়াছিলেন তাহার একটী এই যে সকল জিনিসই নিজের