পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8र्थं वर्षं, ॐ९भ । সম্পাদকের কৈফিয়ৎ R উদ্যত হাতুম, তাহলে সমালোচকেরা আমার কােণ্ডজ্ঞানহীনতার বিষয় আমাকে স্মরণ করিয়ে দিতে তিলাৰ্দ্ধ বিলম্ব করতেন না । এ তে গেল লেখার কথা । তারপর আসে। পরের লেখার সম্পাদনের কথা ; সে বিষয়ে ও আমার কোন ও অভিজ্ঞতা ছিল না, কেননা সবুজ পত্রের সম্পাদককে ও কাজের বলাই নিয়ে বড় একটা ভুগতে হয় নি। প্রথমতঃ, রবীন্দ্ৰনাথের লেখার উপর হস্তক্ষেপ করবার অধিকার পৃথিবীর কোন দেশের কোন সম্পাদকেরই নেই।--দ্বিতীয়তঃ, আমার নিজের লেখার উপর হস্তক্ষেপ করবার অধিকরি আমার চিরদিনই ছিল,-কিন্তু সে লেখক হিসেবে, সম্পাদক হিসেবে নয়। এই কারণে গত বৎসর আমি সবুজ পত্র বন্ধ করে দেবারই পক্ষপাতী ছিলুম। শেষটা কিন্তু যাঁর অভিপ্ৰায়মত সবুজ পত্ৰ প্ৰকাশ করা হয়, তঁরই ইচ্ছামত ও পত্ৰ বাঁচিয়ে রাখতে আমি প্রতিশ্রুত হই। আমি বেশ জানতুম যে, রবীন্দ্ৰনাথ যে দেশেই থাকুন, বাংলার মায়া তিনি কাটাতে পারবেন। না,- এবং সবুজ পত্ৰ ভঁর প্রতিভার প্রসাদ লাভে বঞ্চিত হবে না। এ আশায় আমি নিরাশ হইনি। প্রথম ছ'মাস তিনি নিয়মিত সবুজ পত্রের খোরাক জুগিয়েছেন। তার পর থেকেই সবুজ পত্র, অসাময়িক পত্র হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় যে ও কাগজ আমরা টিকিয়ে রাখতে পেরেছি, এতেই আমরা নিজেদের কৃতাৰ্থ মনে করি।-দু’দিন পরে হলেও সবুজ পত্র যে মাসের পর মাস সশরীরে দেখা দিয়েছে, সে সবুজ পত্রের নবীন লেখকদের গুণে। তঁদের একান্ত সহানুভূতি ও আনুকুল্য ব্যতীত, আমার পক্ষে সবুজ পত্ৰ চালানো অসম্ভব হত। যখন সবুজ পত্রের উপর চারিদিক থেকে আক্রমণ চলছিল, যখন