পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা गभू-ांड R সপ্তদশ শতাব্দী পৰ্যন্ত সমুদ্ৰ-যাত্রার এবং সমুদ্রের ওপারের দেশের কথা শুনতে ভালবাসত, তার প্রমাণ কবিকঙ্কনচণ্ডী এবং নানা কবিরচিত নানা মনসামঙ্গল। পূৰ্বযুগের বাঙ্গলার আপামর সাধারণের আদর্শ নায়িকা ছিল “বেহুলা” । সবিত্ৰী সত্য বানের মৃতদেহ শুধু কোলে করে বসেছিলেন, কিন্তু বেহুল লখিন্দরের মৃতদেহ কলার ভেলায় তুলে নিয়ে সমুদ্রের অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন, কেননা যে বংশে তার জন্ম, সে বংশের সমুদ্রই ছিল কৰ্ম্মভূমি। এই বীরবণিক এবং নাবিকের জাতি যে কবে এবং কেন ঘরো বাঙ্গালা হয়ে উঠেছিল, বাঙ্গলার ইতিহাসে অদ্যাবধি তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাঙ্গলা অবশ্য সমুদ্রের মায়া একেবারে কাটাতে পারেনি। বিলেতি জাহাজে বাঙ্গালী লস্করের সংখ্যা আজও বড় কম নয়,-কিন্তু তারা সব মুসলমান। বোধহয় সমুদ্ৰ-যাত্রা কোরাণে কেতবে নিষিদ্ধ নয়, এবং আমাদের পুরাণে পুথিতে নিষিদ্ধ বলেই বাঙ্গালী হিন্দু বাঙ্গলার মাটিতে শিকড় গেড়ে বসেছিল। এ নিষেধ থাকা সত্বেও এ যুগে আমরা আবার আমাদের পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করতে আরম্ভ করেছি। তঁদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ এই যে, তারা যেতেন। শ্যামে ও ব্রহ্মে, যবন্দ্বীপ ও স্বর্ণদ্বীপে, সম্ভবতঃ চীনে ও জাপানে ; আমরা যাই ইংলেণ্ডে ও আমেরিকায় । অর্থাৎ ভীয়া যেতেন পূর্বে, আমরা যাই পশ্চিমে। তঁরা বিদেশে যেতেন DBBY zBB BDBD BuBBD DDD YzSDBDDDDS BBBDB DDS - কিন্তু সে পরের জাহাজে, এবং অর্থ উপাৰ্জন করবার বিদ্যা শিক্ষার অঙ্গ। এ সমুদ্ৰ-যাত্রার ভিতর আমাদের কোনরূপ জাতীয় কৃতিত্ব নেই। আমরা না পারি জাহাজ গড়তে, না পারি জাহাজ চালাতে।