পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫০

»8 o সবুজ পত্র छषां, ७२७ তার চারদিকে একটা বিরলতা আছে,তার পট-ভূমিকা ( background ) সাদাসিধে। সে আপনাকে দেখাবার জন্যে আর किछूत्र সাহায্য নিতে চায় না । নিশীথের নক্ষত্রসভা অসীম অন্ধকারের অবকাশের মধ্যে নিজেকে প্ৰকাশ করে। এই সমুদ্র আকাশের যে বৃহৎ প্ৰকাশ, সেও বহু-উপকরণের দ্বারা আপন মৰ্য্যাদা নষ্ট করে না । এরা হল জগতের বড় ওস্তাদ, ছলাকলায় আমাদের মন ভোলাতে এরা অবজ্ঞা করে। মনকে শ্রদ্ধাপূর্বক আপন হতে অগ্রসর হয়ে এদের কাছে যেতে হয় । মন যখন নানা ভোগে জীৰ্ণ হয়ে অলস এবং ‘অন্যথাবৃত্তি’ হয়ে থাকে, তখন এই ওস্তাদের আলাপ তার পক্ষে অত্যন্ত ফাকা । আমাদের সুবিধে হয়েচে, সামনে আমাদের আর কিছু নেই। অন্যবারে যখন বিলিতি যাত্রী-জাহাজে সমুদ্র , পাড়ি দিয়েচি, তখন যাত্রীরাই ছিল এক দৃশ্য। তারা নাচে গানে খেলায় গোলেমালে অনন্তকে আচ্ছন্ন করে' রাখত। এক মুহূৰ্ত্তও তারা ফাঁকা ফেলে রাখতে চাইত না। তার উপরে সাজসজ্জা, কায়দাকানুনের উপসর্গ ছিল। এখানে জাহাজের ডেকের সঙ্গে সমুদ্র আকাশের কোনো প্ৰতিযোগিতা নেই। যাত্রীর সংখ্যা অতি সামান্য, আমরাই চারজন ; বাকী দু-তিন জন ধীর প্রকৃতির লোক। ভারপরে ঢ়িলাঢলা বেশেই ~ ঘুমচ্চি, জাগচি, খেতে যাচ্চি, কারো কোনো আপত্তি নেই; তার প্ৰধান কারণ, এমন কোনো মহিলা নেই, আমাদের অপরিচ্ছন্নতায় র্যার অসন্ত্রম হতে পারে । -- '- এই জন্যেই প্ৰতিদিন আমরা বুঝতে পারাচি, জগতে সূৰ্যোদয় ও সুৰ্য্যান্ত সামান্য ব্যাপার নয়, তার অভ্যর্থনার জন্যে স্বৰ্গে মৰ্ত্ত্যে DDDD DBDDBD S LBLBLB gBB DD BD BB DBDKS