পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) tR II অষাঢ়, ১৩২৩ উক্ত বাণীর তিনি যা অর্থ করেছেন, আমি তা গ্ৰাহ করতে পারি নে। তিনি বলেন, দ্বিজেন্দ্রলালের শেষ কথা। এই যে, “আমরা যতই অযোগ্য হই, যতই অক্ষম হই, যতই দুর্বল হই, আমরাই মায়ের দৈন্য দূর করুবা”। দ্বিজেন্দ্রলালের অসংখ্য গান উচ্চহাস্যে এ মতের প্ৰতিবাদ করছে। তিনি স্বজাতিকে এই শিক্ষা দিয়েছেন যে, যদি দেশের দৈন্য দূর করতে হয়, তাহলে তার জন্য আমাদের মনে ও চরিত্রে যোগ্য হতে হবে, সক্ষম হতে হবে, সবল হতে হবে। আমার বিশ্বাস তার দেশপ্রীতির চরমবাণী এই যে, “আবার তোরা ? মানুষ হ” । মিছে আত্মশ্লাঘা যে আমাদের পক্ষে মানুষ হবার প্রতিবন্ধক, এ কথা। আর কেউ জানুন আর নাই জানুন, দ্বিজেন্দ্ৰলাল জানতেন। ইংরাজীতে যাকে বলে Self-criticism, মানুষের মনের পক্ষে তার চাইতে স্বাস্থ্যকর জিনিষ আর নেই, কেননা মানবের যথার্থ ঐশ্বৰ্য্য যেমন ভিতরকার জিনিষ,বাইরের নয়,-তেমনি তার যথার্থ দৈস্য ও ভিতরকার জিনিষ, বাইরের নয়। আমাদের নব-সাহিত্য যারা সৃষ্টি করেছেন, রামমোহন রায় থেকে আরম্ভ করে তারা প্ৰায় সকলেই স্বজাতিকে তার অন্তরের দৈন্য সম্বন্ধে সচেতন করে” তোলবার চেষ্টা করেছেন। বাঙ্গলা-সাহিত্যের এ বড় কম গৌরবের কথা নয়। এর থেকেই স্বদেশের প্রতি স্বজাতির প্রতি বাঙ্গালীর মমতার বিশিষ্ট পরিচয় ° 3भू। शभू । ( . ) সাহিত্যের ধৰ্ম্মই হচ্ছে এই যে, তার প্রসাদে মানুষে আত্মজ্ঞান লাভ করে। দুই উপায়ে এই আত্মজ্ঞান উদ্রেক করা যেতে পারে