পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७झ वर्ष, डूडौम गरेथा দ্বিজেন্দ্রলাল ब्रांप्ब्रज्ञ शनिव्र श्रांन Ο α : হয় যেন সে শরীর কাঠ কিম্বা পাথর দিয়ে গড়া। এই হচ্ছে হাসির সর্বনিম্নস্তর। আর যে হাসি মনের জড়তার বিরুদ্ধে মাথা তোলে, সে হচ্ছে উচ্চস্তরের হাসি । এই কারণেই, যখন কোন ও জাতির মন ও চরিত্র জড়বৎ হয়ে আসে, তখন সে সমাজের ভিতর যদি জীবনী-শক্তি থাকে, তাহলে সে শক্তি হাসির আকারে ফুটে ওঠে, এবং তার প্রভাবে সামাজিক জীবন জড়তার হাত থেকে কথঞ্চিৎ মুক্তি লাভ করে। ইউরোপীয় সাহিত্য, যুগে যুগে এ সত্যের পরিচয় দিয়ে এসেছে। এ মত গ্ৰাহ করলে, দ্বিজেন্দ্রলালের . হাসির কাৰ্য্য কারণ দুয়েরি সন্ধান পাওয়া যায়। আমাদের সামাজিক মনে ও চরিত্রে যে জড়তা আছে, দ্বিজেন্দ্রলাল তারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, আর সে প্ৰতিবাদ বাঙ্গালী সমাজ যে সহস্যমুখে গ্ৰাহ করে নিয়েছেন, তার থেকে এই প্রমাণ হয় যে, আমাদের জাতির অন্তরে আজওঁ যথেষ্ট জীবনী-শক্তি আছে। একই মনোভাব থেকে প্রসূত একের হাসিতে কেন আর পাঁচজনের মনে ফুৰ্ত্তি এনে দেয়, কিন্তু আর একজনের হাসিতে কেন তা এনে দেয় না ? Bergson)এর দর্শনে সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না। আমরা হাসির উৎপত্তির সকল কারণগুলিও যদি ধরতে পারি, তাহলেও কেবলমাত্ৰ সেই সকল কারণের সমবায়ে হাসি জন্মগ্রহণ করে না। যদি কবুত তাহলে দার্শনিকের সর্বশ্রেষ্ঠ ইত্যরসের রসিক হয়ে উঠতেন । অথচ দার্শনিকের মত অরসিক লোক পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় নেই। এই কারণে আমরা স্বীকার করতে বাধ্য যে, হাসির অন্তরে তার সকল উপাদানের অতিরিক্ত এমন একটি পদার্থ আছে যা হচ্ছে তার রস, অর্থাৎ আত্মা। এদেশের