পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৯

७ध दर्द, क़ूडोब ग९थf আহুতি YY ইতিমধ্যে আমার শরীর মন ইন্দ্ৰিয় পঞ্চপ্ৰাণ প্ৰভৃতি সব এতটা ক্লান্ত ও* অবসন্ন হয়ে পড়েছিল যে, আমি চোখ বুজে ঘুমবার চেষ্টা করলুম। ক্রমে জ্যৈষ্ঠ মাসের দুপুর রোদ্দুর এবং পাল্কির দোলার । প্ৰসাদে আমার তন্দ্ৰ এল ; সে তন্দ্ৰ। কিন্তু নিদ্রা নয় । আমার শরীর যেমন শোওয়া বসা এ দুয়ের মাঝামাঝি একটা অবস্থা প্ৰাপ্ত হয়েছিল, আমার মনও তেমনি সুপ্তি ও জাগরণের মাঝামাঝি একটা অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছিল। এই অবস্থায় ঘণ্টা দুয়েক কেটে গেল। তারপর পান্ধির একটা প্ৰচণ্ড ধাক্কায় আমি জেগে উঠলুম,- সে ধাক্কার বেগ এতই বেশি যে, তা আমার দেহের ষষ্ঠ চক্ৰ ভেদ করে’ একেবারে সহস্রারে গিয়ে উপনীত হয়েছিল । জেগে দেখি ব্যাপার। আর কিছুই নয়।--বেহােরারা একটি প্ৰকাণ্ড বটগাছের তলায় সোয়ারি সজোরে নিক্ষেপ করে একদম সুদৃশ্য হয়েছে। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে সর্দারাজী বললেন, ওরা একটু তামাক খেতে গিয়েছে। যাত্রা করে অবধি, এই প্রথম একটি জায়গা আমার চোখে পড়ল, যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। সে বট একাই একশ’ ; চারিদিকে সারিসারি বোয়া নেমেছে, আর তার উপরে পাতা এত ঘনবিন্যস্ত যে, সূৰ্যরশ্মি তা ভেদ করে আসতে পারছে না । মনে হল প্ৰকৃতি, তাপক্লিষ্ট পথশ্রাস্ত পথিকদের জন্য একটি হাজার থামের পান্থশালা সস্নেহে স্বহস্তে রচনা করে রেখেছেন। সেখানে ছায়া এত নিবিড় যে, সন্ধ্যে হয়েছে বলে আমার ভুল হল, কিন্তু ঘড়ি খুলে দেখি বেলা তখন সবে একটা । আমি এই অবসরে বহুকষ্টে পাঙ্কি থেকে নিস্কৃতি লাভ করে? ধীক পী ছড়িয়ে নেবার চেষ্টা করলুম। দেহটিকে সোজা করে?