পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, የgéት¶ ጓጀማኽ আহুতি y আলগোছ হয়ে রয়েছে। আর এই ইটকাঠ, মাটি, আকাশের সর্বাঙ্গে যেন রক্তবর্ণ আগুন জড়িয়ে রয়েছে। এ দৃশ্য দেখে বোহারাদের প্রকৃতির লোকের ভয় পাওয়াটা কিছু আশ্চর্য্যের বিষয় নয়, কেননা আমারই গা ছমছম করতে লাগল। খানিকক্ষণ পরে এই নিস্তব্ধতার বুকের ভিতর থেকে একটি অতি ক্ষীণ ক্ৰন্দনধ্বনি আমার কানে এল । সে স্বর এত মৃদু, এত করুণ, এত কাতর যে, মনে হল সে সুরের মধ্যে যেন মানুষের যুগযুগাস্তের বেদন সঞ্চিত, ঘনীভূত হয়ে রয়েছে। এ কান্নার সুরে আমার সমগ্ৰ অন্তর অসীম করুণায় ভরে গেল, আমি মুহুর্তের মধ্যে বিশ্বমানবের ব্যথার ব্যর্থী হয়ে উঠলুম। এমন সময়ে হঠাৎ কাঁড় উঠল, চারিদিক থেকে এলোমেলে ভাবে বাতাস বইতে व्लॉकब्ल । সেই বাতাসের তাড়নায় আকাশের আগুন যেন পাগল হয়ে ছুটােছুটি করতে লাগল, আকাশের রক্তগঙ্গায় যেন তুফান উঠল, চারিদিকে আগুনের ঢেউ বইতে লাগল। তারপর দেখি সেই অগ্নি-প্লাবনের মধ্যে অসংখ্য নরনারীর ছায়া কিলবিল করছে, ছটফট করছে। এই ব্যাপার দেখে উনপঞ্চাশ বায়ু মহানন্দে করতালি দিতে লাগল, হা হা হো হো শব্দে চীৎকার করতে লাগল। ক্ৰমে এই সব শব্দ মিলেমিশে একটা অট্টহাস্যে রূপান্তরিত হল,—সে হাসির নিৰ্ম্মম বিকট ধবনি দিগদিগন্তে ঢেউ খেলিয়ে গেল । সে হাসি ক্রমে ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হয়ে, আবার সেই মৃদু করুণ ও কাতর ক্ৰন্দনধবনিতে পরিণত হল । এই বিকট হাসি আর এই করুণ ক্ৰন্দনের দ্বন্দ্বে আমার মনের ভিতর এই ধ্বংশপুরীর পূর্বস্থিতি সব জাগিয়ে তুললে,- সে স্মৃতি ইহজন্মের কি পূৰ্ব্বজন্মের তা আমি বলতে পারি নে। আমার