পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা F- 어 ò S(? ( 文。) শুনেছিলুম, পারস্যের রাজা যখন ইংলণ্ডে গিয়েছিলেন, তখন হাতে-খাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি ইংরেজকে বলেছিলেন, কঁাটাচামচ দিয়ে খেতে গিয়ে তোমরা খাওয়ার একটা আনন্দ থেকে বঞ্চিত হও । যারা ঘটকের হাত দিয়ে বিয়ে করে, তারা কোর্টশিপের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। হাত দিয়ে স্পর্শ করেই খাবারের সঙ্গে কোর্টশিপ আরম্ভ হয়। আঙ্গুলের ডগা দিয়েই স্বাদগ্ৰহণের সুরু। আমার তেমনি জাহাজ থেকেই জাপানের স্বাদ সুরু হয়েচে । ঘদি ফরাসী জাহাজে করে জাপানে যৌতুম, তাহলে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে পরিচয় আরম্ভ হত না। এর আগে অনেকবার বিলিতি জাহাজে করে সমুদ্র যাত্ৰা করেচিতার সঙ্গে এই জাহাজের বিস্তর তফাৎ । সে সব জাহাজের কাপ্তেন ঘোরতর কাপ্তেন । যাত্রীদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া হাসি তামাস যে তার বন্ধ-ত নয়; কিন্তু কাপ্তেনীটা খুব টকটকে রাঙা । এত জাহাজে আমি ঘুরেচি, তার মধ্যে কোনো কাপ্তেনকেই আমার মনে পড়ে না । কেননা তার কেবলমাত্ৰ জাহাজের অঙ্গ । জাহাজ-চালানোর মাঝখান দিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ । হতে পারে। আমি যদি য়ুরোপীয় হাতুম, তাহলে তারা যে কাপ্তেন ছাড়াও আর কিছু-তারা যে মানুষ-এটা আমার অনুভব করতে বিশেষ বাধা হত না। কিন্তু এ জাহাজেও আমি বিদেশী,—একজন যুরোপীয়ের পক্ষে ও আমি যা, একজন জাপানীর পক্ষে ও আমি তাই। ঐ জাহাজে চড়ে অবধি দেখতে পাচ্ছি, আমাদের কাপ্তেনের কাস্তেনীটা কিছুমাত্ৰ লক্ষ্যগোচর নয়, একেবারেই সহজ মানুষ।