পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R e o १६, १७२० ২রা জ্যৈষ্ঠে আমাদের জাহাজ সিঙাপুরে এসে পৌছল। অনতিকাল পরেই একজন জাপানী যুবক আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন, তিনি এখানকার একটি জাপানী কাগজের সম্পাদক। তিনি আমাকে বল্লেন, তঁদের জাপানের সব চেয়ে বড় দৈনিক পত্রের সম্পাদকের কাছ থেকে তঁরা তার োয়েচেন যে আমি জাপানে যাচি, সেই সম্পাদক আমার কাছ থেকে একটি বক্ততা আদায় করবার জন্যে অনুরোধ করেচেন। আমি বল্লুম, জাপানে না পৌছে আমি এ বিষয়ে আমার সম্মতি জানাতে পারব না। তখনকার মত এই টুকুতেই মিটে গেল। আমাদের যুবক ইংরেজ বন্ধু পিয়ার্সন এবং মুকুল সহর দেখতে বেরিয়ে গেলেন। জাহাজ একেবারে ঘাটে লেগেচে । এই জাহাজের ঘাটের চেয়ে কুগ্ৰী বিভীষিকা আর নেই-এরি মধ্যে ঘন মেঘ করে বাদলা দেখা দিলে। বিকট ঘড়ঘড় শব্দে জাহাজ থেকে মাল ওঠানো নাবানো চলতে লাগল ! আমি কুড়ে মানুষ, কোমর বেঁধে সহর দেখতে বেরনে আমার ধাতে নেই। আমি সেই বিষম গোলমালের সাইক্লোনের মধ্যে ডেক-এ বসে মনকে কোনোমতে শান্ত করে রাখবার জন্যে লিখতে বসে গেলুম। খানিক বাদে কাপ্তেন এসে খবর দিলেন যে, একজন জাপানী মহিলা আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি লেখা বন্ধ করে একটি ইংরাজি-বেশ-পরা জাপানী মহিলার সঙ্গে আলাপে প্ৰবৃত্ত হলুম। তিনিও সেই জাপানী সম্পাদকের পক্ষ নিয়ে, বক্ততা করবার জন্যে আমাকে অনুরোধ করতে লাগলেন। আমি বহু কষ্টে সে অনুরোধ কাটালুম। তখন তিনি বল্পেন, আপনি যদি একটু সহর বেড়িয়ে আসতে ইচ্ছা করেন ত আপনাকে সব দেখিয়ে আনতে পারি।