পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ল্প ধাৰ্য, পঞ্চম সংখ্যা खteiॉन-शांख्ौद्ध *iए SCI শরীরের যে কি স্বগীয় শোভা, তা আমি এমন করে আর কোনদিন দেখতে পাই নি । কাজের শক্তি, কাজের নৈপুণ্য এবং কাজের আনন্দকে এমন পুঞ্জীভূত ভাবে একত্র দেখতে পেয়ে, আমি মনে মনে বুঝতে পারলুম। এই বৃহৎ জাতির মধ্যে কতখানি ক্ষমতা সমস্ত দেশ জুড়ে সঞ্চিত হচ্চে। এখানে মানুষ পুর্ণপরিমাণে নিজেকে প্রয়োগ করবার জন্যে বহুকাল থেকে প্ৰস্তুত হচ্চে। যে-সাধনায় মানুষ আপনাকে আপনি ষোলো-আনা ব্যবহার করবার শক্তি পায়, তার কৃপণতা ঘুচে যায়, নিজেকে নিজে কোন অংশে ফাঁকি দেয় না,-সে যে মস্ত সাধনা। চীন সুদীর্ঘকাল সেই সাধনায় পুর্ণভাবে কাজ করতে শিখেচে, সেই কাজের মধ্যেই তার নিজের শক্তি উদারভাবে আপনার মুক্তি এবং আনন্দ পাচ্চে ;-এ একটি পরিপূর্ণতার ছবি। চীনের এই শক্তি আছে বলেই আমেরিক চীনকে ভয় করেচে-কাজের উদ্যমে চীনকে সে জিততে পারে না, গায়ের জোরে তাকে ঠেকিয়ে রাখতে চায়। এই এতবড় একটা শক্তি যখন আপনার আধুনিক কালের বাহনকে পাবে, অর্থাৎ যখন বিজ্ঞান তার আয়ত্ত হবে, তখন পৃথিবীতে তাকে বাধা দিতে পারে এমন কোন শক্তি আছে ? তখন তার কৰ্ম্মের প্রতিভার সঙ্গে তার উপকরণের যোগসাধন হবে । এখন যেসব জাতি পৃথিবীর সম্পদ ভোগ করচে, তারা চীনের সেই অত্যুখানকে ভয় করে, সেই দিনকে তারা ঠেকিয়ে রাখতে চায় । কিন্তু যে জাতির যে দিকে যতখানি বড় হবার শক্তি আছে, সে দিকে তাকে ততখানি বড় হয়ে উঠতে দিতে বাধা-দেওয়া যে স্বজাতিপুজা থেকে জন্মেছে, তার মত এমন সর্বনেশে পুজা জগতে আর কিছুই vov