পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । qक9ि अक्ट्रीं थरछांद Snvo তঁহাদের অ:দেশক্রমেই রচিত হয়। ইংরাজগণ এ বিষয়ে পথপ্রদর্শক হইলেও, প্ৰধানত ফোর্ট-উইলিয়ামের বিত্তভোগী ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতগণই বঙ্গসাহিত্যে গদ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। গদ্যের জন্মস্থানের কথা স্মরণ করিলেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে যে, চিরাগত পদ্য-সাহিত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার জন্যই তাহার সৃষ্টি । কথায় বলে হিকমতে চীন, হুজুতে বাঙ্গালী; কাকেই বাঙ্গালী এই গদ্যের হুজুগে মাতিয়া উঠিল। ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতদিগের পদানুসরণ করিয়া শত শত অপণ্ডিত-ব্ৰাহ্মণ এবং পণ্ডিত-তিব্ৰাহ্মণগণ গদ্য রচনা করিতে লাগিলেন। ফলে কাদম্বরী হইতে হাতেমতাই, বৃহৎকথা হইতে টম-কাকারকুটীর পর্যন্ত, পূর্ব পশ্চিমের এমন কোনই কথা রহিল না, যাহা বঙ্গদেশে বঙ্গ-গদ্যাকারে না আবির্ভূত হইল। এই যুগে পদ্যকাব্য জগত হইতে তাড়িত হইয়া, সঙ্গীতের অধিকারে কবি পাঁচালি ইত্যাদি রূপে চি চি করিতে লাগিল। দেখা গেল যে, বাঙ্গলার কোম্পানীর আমল, গদ্যের অমল । তাহার পর আসিল মহারাণী ভিক্টোরিয়ার আমল। এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে আসিল বঙ্গসাহিত্যের ভিক্টোরীয় যুগ অর্থাৎ Victorian age এই নব যুগের সুযোগে মাইকেল মধুসুদন দত্ত নামক জনৈক অসমসাহসী এবং অদ্ভুতকৰ্ম্ম ব্যক্তি পদ্যকে আবার সাহিত্যের ভিতর টানিয়া আনিলেন,-কিন্তু তাহার সম্পূর্ণ রূপান্তর করিয়া। তঁহার হস্তে পদ্য প্রায় গদ্য হইয়া দাঁড়াইল। অর্থাৎ তিনি গদ্যের সহিত পদ্যের, পূর্বের সহিত পশ্চিমেয়, জোর জবরদস্তি করিয়া একটা আপোষ মীমাংসা করাইয়া, বঙ্গসাহিত্যে তাহার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিলেন।