পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ সবুজ পত্ৰ स्त्रांत्रिंनी ७ कार्ढेिक, s७३७ বর্তমান যুগে নভেলই সর্বশ্রেষ্ঠ লোকশিক্ষক। সেকালে যাত্ৰা, পাঁচালী, কথকতা, ভাসান, জারি, কবিগান আদি করে লোকশিক্ষার বিস্তর বাহন ছিল । এখন পাশ্চাত্য শিক্ষা আর সভ্যতা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এদের সবারই গতি মন্থর থেকে মস্থরতর হতে চলেছে; আর এদের সবাইকে পিছনে ফেলে দ্রুত গৰ্ব্বিত-গতিতে অগ্রসর হচ্ছে নভেল ! এ কিছু আমাদের দেশে নুতন নয়—একালে সব দেশেই এই ব্যাপার। সাহিত্য বলতেই আজকাল নভেল-নাটক, গল্প-গাথা-এই সবই প্রধানতঃ বুঝায়। আমাদের দেশের কাল আর পাত্র বিবেচনা করলে, নভেলের এই দ্রুত প্রতিপত্তি কিছুমাত্র অস্বাভাবিক বা অসঙ্গত বলে মনে হয় না। আগেকার যাত্ৰা-জারি, ও-সব ছিল। ধৰ্ম্মমূলক। তখন ধৰ্ম্ম ছিল সর্বব্যাপী । তখন ধৰ্ম্মের ভিতরে কি যে ছিল, আর কি যে ছিল না, তা” বলা শক্ত ! একলব্যের গুরুপূজা থেকে জন্মেজয়ের সাপমার পৰ্য্যন্ত-সবই ছিল ধৰ্ম্মের অর্থ ! ধৰ্ম্মশাস্ত্র আমাদের ইতর সাধারণের শিক্ষার ভার নিয়ে, নিজে অনেক অবনত হয়ে পড়েছিল। লোক শিক্ষার জন্যে ঐহিক-পারলৌকিক, সাত্ত্বিক-রাজসিক, দাস্য-সখ্য প্রভৃতি আদর্শ চিত্র করতে করতে, আমাদের শাস্ত্ৰ এক বিরাট জগাখিচুড়িতে পরিণত হয়েছিল। পৌরাণিক ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ, ধৰ্ম্মমূলক-নভেল ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এখনকার নভেলের সঙ্গে তার তফাৎ এই যে, তাতে আধুনিক “আর্ট” জিনিসটার একান্ত অভাব। সে-সব অস্বাভাবিকতায় ভরা। এই জন্যেই আমাদের নব্য রুচি পুরাণের স্বাদে মোটেই তৃপ্ত হয় না। আমাদের নভেল চাই! আমার কথায় কেউ যেন মনে না করেন-আমি পুরাণে ভক্তি