পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা হিন্দু সঙ্গীত NOU বিশিষ্ট ; যথা ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা ও ঠুংরি। শুদ্ধবাণী ধ্রুপদ ও শোরীমিয়ার টপ্পা যে এক-জাতীয় সুর নয়, আমাদের দেশের গান বাজনার যারা ক-খ-মাত্ৰ জানেন, তঁদের কাছেও তা অবিদিত নেই। সুতরাং “ওস্তান্দি” অর্থে কে কোনজাতীয় সঙ্গীত বোঝেন, তা স্পষ্ট করে না জানালে, এ বিষয়ে কোনরূপ সঙ্গত বিচার করা অসম্ভব। পত্ৰলেখক মহাশয় লিখেছেন যে তঁার একজন “বিশিষ্ট গায়ক বন্ধু” এই বলে দুঃখ করেন—“আমার রাগিণী আলাপ শুনে একালের ছেলেরা হাসে।” ঐ “আলাপ” শব্দের উল্লেখ থেকে অনুমান করা যায় যে তিনি হিন্দু-সঙ্গীত অর্থে বোঝেন ধ্রুপদ ও খেয়াল। তাহলে কি টপ্পা, ঠুংরি, হোরি, কাজরি, ভজন, লাউনি, হিন্দু সঙ্গীত নয় ? এ মত প্ৰকাশ করলে ছেলেরা না হোক, সঙ্গীতজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রেই যে হাসবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। আর যদি কেউ জোর করে বলেন যে, হিন্দুস্থানী-সঙ্গীতই হিন্দু-সঙ্গীত-তাহলে দক্ষিণাপথের ব্ৰাহ্মণসঙ্গীতাচাৰ্য্যের সমস্বরে তার প্রতিবাদ করে বলবেন aS D DBD BSBDBBB DDBDBLLBDDB DDBDBD DDBDDD BggSSLDBBBB হিন্দুপদবাচ্য নয়। অপরপক্ষে মুসলমান ওস্তান্দজিরা বলে থাকেন যে, রাগরাগিনী সব তাদের খানদানি, এমন কি সপ্তসুরা পৰ্য্যন্ত তাদের ঘরানা চীজ । হিন্দুস্ত্ৰ মুখ থেকে ও সব বেরোয় না, যদি বা বেরোয় তাহলে তাতে “কড়িভাতক বন্দবু” থাকে; কিন্তু তাদের মুখ থেকে যা উদগীৰ্ণ হয়, তাতে “পোলাও কোরমাকো খোসবু” থাকে। একদিকে দই ভাত, অপরদিকে পেয়াজ রািশুন-এ দুয়ের মধ্যে পত্ৰলেখক মহাশয়ের ভাষা ব্যবহার করতে গেলে, কোনটি যে বেশী “পুতিগন্ধময়”। সে