পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা शिन्तू गौङ ᏔᏬᎸᎲᏍ এ কথা কোন শাস্ত্ৰেই বলে না। আর যে সঙ্গীতের নাক ডাকে, সে যে ঘুমিয়ে আছে, এ সন্দেহ মানুষের মনে সহজেই উদয় হয়-তা সে স্বর্ণসিংহাসনেই বসে থাক, আর সোনার পালঙ্কেই শুয়ে থাক ! উচ্চ অঙ্গের সঙ্গীতের উপর এইরূপ অত্যাচার করার প্রধান কারণ, কলাবতের ভুলে যান যে সঙ্গীত আর্ট, science নয়—এবং সঙ্গীতের উদ্দেশ্য শ্রোতাকে আনন্দ দেওয়া, নিজের মুখস্থ বিদ্যার দৌড় দেখানো নয় । এই সঙ্গীতের বিদ্যে দেখাতে গিয়ে তঁদের শুধু বিদ্যেই বেরিয়ে পড়ে—ফলে আনাড়ির দল হাসে, আর সুরেলা লোকের চটে । ( a ) এই pedantry (TCS, AIF pedant-Ego Ts Sig SNP সকলের কাছে উচ্চ অঙ্গের সঙ্গীত, হয় উপেক্ষা নয় অবজ্ঞার বস্তু হয়ে উঠেছে। এ অবশ্য অতিশয় দুঃখের বিষয়, কেননা পুর্বেই বলেছি যে আমার মতে এই শ্রেণীর সঙ্গীতেই ভারতবর্ষের সঙ্গীত তার পূর্ণ শ্ৰী, পুর্ণপরিণতি লাভ করেছে। সুতরাং এ সঙ্গীত শিক্ষা করতে গেলে বেশীর ভাগ লোকেই কেন আর্টিষ্ট না হয়ে pedant হয়ে ওঠে-তার কারণও নির্ণয় করবার চেষ্টা করা আবশ্যক। আর্টের রাজ্যের অপুর্ব কীৰ্ত্তিগুলিকে অমর করবার ইচ্ছা! মানুষের পক্ষে নিতান্ত স্বাভাবিক। ভাষ্কৰ্য্য ও স্থাপত্যের কীত্তিগুলি সব নিজের জোরেই দাড়িয়ে থাকে-কেননা ও সকল আর্টের উপাদান কঠিন জড়পদার্থ। যে আর্টের উপাদান শব্দ, সেই