পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ex 36, vüz YANi ♥†°ዘçaቦ፪ ዋፃug R আমি নিজের কথা বলতে পারি, আমাদের জীবনযাত্রার উপযোগী জিনিস আমরা এখান থেকে যত নিতে পারি, এমন য়ুরোপ থেকে নয়। তা ছাড়া জীবনযাত্রার রীতি যদি আমরা অসঙ্কোচে জাপানের কাছ থেকে শিখে নিতে পারতুম, তাহলে আমাদের ঘর দুয়ার এবং ব্যবহার শুচি হত, সুন্দর হত, সংযত হত । জাপান ভারতবর্ষ থেকে যা পেয়েচে, তাতে আজ ভারতবর্ষকে লজ্জা দিচ্চো; কিন্তু দুঃখ এই যে, সেই লজ্জা অনুভব করবার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের যত লজ্জা সমস্ত কেবল যুরোপের কাছে,—তাই য়ুরোপের ছেড়া কাপড় কুড়িয়ে কুড়িয়ে তালি-দেওয়া অদ্ভুত আবরণে আমরা লজ্জা রক্ষা করতে চাই। এদিকে জাপান-প্রবাসী ভারতবাসীরা বলে, জাপান আমাদের এসিয়াবাসী বলে অবজ্ঞা করে- অথচ আমরা ও জাপানকে এমনি অবজ্ঞা করি যে, তার আতিথ্য গ্ৰহণ করে ও প্রকৃত জাপানকে চক্ষে ও দেখি নে, জাপানের ভিতর দিয়ে বিকৃত য়ুরোপকেই কেবল দেখি । জাপানকে যদি দেখতে পেতুম, তাহলে আমাদের ঘর থেকে অনেক কুগ্ৰীতা, অশুচিতা অব্যবস্থা, অসংযম আজ দূরে চলে যেত। বাঙ্গলা দেশে আজ শিল্পকলার নুতন অভু্যদয় হয়েচে, আমি সেই শিল্পীদের জাপানে আহবান করাচি। নকল করবার জন্যে নয়, শিক্ষা করবার জন্যে। শিল্প জিনিসটা যে কত বড় জিনিস, সমস্ত জাতির সেটা যে কত বড় সম্পদ, কেবল মাত্র সৌখিনতাকে সে যে কতদূর পৰ্য্যস্ত ছাড়িয়ে গেছে—তার মধ্যে জ্ঞানীর জ্ঞান, ভক্তের ভক্তি, রসিকের রসবোধ যে কত গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে প্রকাশ করবার চেষ্টা করচে, তা এখানে এলে তবে স্পষ্ট বোঝা साध्न ।