পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७६ ग्रँ, অষ্টম সংখ্যা শিশু-সাহিত্য বিলোতে Children's সাহিত্য থাকতে পারে, এদেশে নেই ; কেননা LD SYYS S LLL LtY DKS TYSBB Lg Y S DYSLSqY0LLBDS এদেশে আর কিছু লাড়ুক আর না বাড়ক, বয়েস বাড়ে,--আর সে এত তেড়ে যে, আমাদের ছেলেমেয়ের যন্ত সত্বর শৈশব অতিক্রম করে, পৃথিবীর অপর কোনও দেশে তত শীঘ্ৰ করে না ; অন্ততঃ এই হচ্ছে আমাদের ধারণা। ফলে, যে বয়সে ইউরোপের মেয়ের ছেলেখেলা করে, সেই বয়সে আমাদের মেয়ের ছেলে মানুষ করে । এবং সেই ছেলে যাতে শীঘ্ৰ মানুষ হয়, সেই উদ্দেশ্যে আমরা শৈশবের মেয়াদ পাঁচ বৎসরের বেশি দিই নে। আজকাল আবার দেখতে পাই, অনেকে তার মধ্যে ও দু'বছর কেটে নেবার পক্ষপাতী। শৈশবটা হচ্ছে মানবজীবনের পতিত জমি ; এবং আমাদের বিশ্বাস, সেই পতিত জমি যত শীঘ্ৰ আপাদ করা যাবে, তাতে-ভত দেশী সোেণা ফলবে । বাপমা'র এই সুবর্ণের লোভাবশতঃ, এদেশের ছেলেদের বর্ণপরিচয়টা অতি শৈশবেই হয়ে থাকে। একালের শিক্ষিত লোকেরা ছেলে ইটুকুত শিখলেই তাকে পড়তে বসান। শিশুদের উপর এরূপ অভJাচার করাটা যে ভবিষ্যৎ বাঙ্গালী জাতির পক্ষে কল্যাণকর নয়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ; কেননা, যে শৈশব্দে শিশু ছিল না, সে যৌবনে যুবক হতে পারবে না। আর এ কথা বলা বাহুল্য, শিশুশিক্ষার উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিশুর শিশুত্ব নষ্ট করা । অর্থাৎ যার আনন্দ উপভোগ করবার শক্তি অপরিমিত, তাকে জ্ঞানের ভোগ ভোগানো। সে ভোগ যে কি কৰ্ম্মভোগ, তা চেষ্টা করলে আমরা ও কল্পনা করতে পারি। ধরুন যদি আমরা স্বগে যাবা মাত্ৰ স্বৰ্গীয় মাস্টােরমহাশয়দের দল এসে স্বামীদের স্বৰ্গৰাজ্যের হিস্টরি জিওগ্রাফি শেখাতে, এবং দেবভাষার শিশু