পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७झ बर्ष, अछैब गरथा একটি সাদা গল্প এ মহাসমস্যার মীমাংসা ও শ্ৰীমতী করে দিলে। সকলের সকল কথা শুনে, সকল অবস্থা জেনে, শ্ৰীমতী বল্পে এ বিবাহ সে করবেই। সে বুঝেছিল যে, তার বিবাহ না হওয়া তৰ্ক তার বাপের বিড়ম্বনার আর শেষ হবে না। তা ছাড়া সে কোন দুঃখকষ্টকেই আর ভয় করত না, বরং তার মনে হত যে তার পক্ষে জীবনে নিজে সুখী হবার ইচ্ছাটাও একটা মহাপাপ,-সে ইচ্ছাটা যেন তারা নিৰ্ম্মম স্বার্থপরতার পরিচয় দেয়ু। শ্যামলাল অবশ্য মেয়ের মতে মত দিলেন, কিন্তু ব্যাপারখানা যে কি হল, তা তিনি কিছুই বুঝতে পাবুলেন না। এইটুকু শুধু বুঝলেন যে, পুরাতনের সংঘর্ষে তার জোড়া-সুখস্বপ্নের আর একটি ও ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল । এরপর এক মাস না যেতেই শ্যামলালের মেয়ের বিয়ে হ’ল । সে বিবাহ-সভায় আমি উপস্থিত ছিলুম। পাঁচজনের যেমন হয়ে থাকে, তেমনি বিয়ে হ’ল ; অর্থাৎ তার মধ্যে কোন নুতনত্ব ছিল না, এক মেয়ে বড়-এই ছাড়া । সেই আমি প্রথম ও শেষ শ্ৰীমতীকে দেখি। তার রূপের খ্যাতি পুর্ব থেকেই শুনেছিলুম, কিন্তু যা দেখলুম তা সুন্দরী স্ত্রীলোক নয়,-শ্বেতপাথরে খোদা দেবীমূৰ্ত্তি; তার সকল অঙ্গ দেবতার মতই সুঠাম, দেবতার মতই নিশ্চল, আর তার মুখ দেবতার মতই প্ৰশান্ত আর নির্বিকার। বর কনে মানিয়েছিল ভাল, কেননা ক্ষেত্রপতি ও যেমন বলিষ্ঠ তেমনি সুপুরুষ ; তার বয়েস পঁয়তাল্লিশের উপর হলেও ত্ৰিশের বেশী দেখাত না, আর তার মুখ ও Iইল পাষানের মতই নিটোল ও কঠিন। আমার মনে হল, আমি যেন দুটি Statueর বিয়ের অভিনয় দেখছি। বরকনে’তে যে মন্ত্র পড়ছিল, তা