পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বৰ্য, অষ্টম সংখ্যা দরবেশের উপদেশ অনুক্ষণ এই ইস্তাহার জারী। তিনি করিতেছেন,-সে। সুধার এক বিন্দুও অলসের জন্য কখনই নহে ; বরং উদাম পাগলেও আপনার আলাভোলা নটোেম্মত্ততার বকশীসূ স্বরূপে তাহার অজস্র ধারা দাবী করে, লাভ করে, পাণ করে, অমর হয়, এবং উত্তরোত্তর নাচিবার বেগ বাড়াইতেই থাকে। সে বেগের কিন্মত কি ! অন্তঃসলিল গতির তরঙ্গে অচলায়তনের দেয়ালকে শিখিল-ভিত্তি করিয়া দিয়া তাহারই ছায়ায় ছায়ায় চলিয়াছে যে ! দরবেশদের কাহারো আঁধার ভালো লাগিলেই বুঝিতে হইবে সে রোগবিষ্ট। তৎক্ষণাৎ দাওয়াই করিবে। একরকম আত্মনির্ভরতা অর্থাৎ দৃঢ়-অহঙ্কারের সহিত আঁধার-প্ৰয়তার একটা বহিঃসাদৃশ্য দেখা যায় বটে ;-কিন্তু সাবধান ! “ডাল তুলিয়া ফল দেখিয়া” তবে অপর চিকিৎসা সুরু করা উচিত। আঁখির ঠারে ফেরেববাজী মানুষের সাথে করা এক আধটু চলিলেও চলিতে পারে ; মনের কাছে কিন্তু ধরা পড়েই বাপু । তখন আত্মপ্রতারণার আপশোষ করিবার পালা উপস্থিত হয়,- অথচ হাতের অন্য কত কাজ পড়িয়া থাকে ; সুতরাং অগ্রিম সাবধানত भक कि । সিংহের গর্জনকেও আমল দিব না,-চিত্তের এই দৃঢ় ংকল্প আমরাই সাধনা করিয়া লাভ করি। ভয়ের মত জঘন্য পদার্থের জোড়া মিলে না বলিয়াই, কালো কুকুরটার মত সেটাকে দূরে খুেদাইবার মন্ত্র গাহিয়া বেড়াই :- সাহসের চুড়া আকাশ ফুড়িয়া খোদার চরণ চুমে। তরাসের সদা মরণ কবুল-আছাড়ি মরিছে ভুমে। আমাদের শিক্ষা কতই গভীর । কাকের মত সকলের আগে আমরা সবাইকে জাগাইয়া দিই ! ভেকের মত অবাধ আমাদের চরণ gN)